কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কীভাবে ‘ঋণে জর্জরিত’ উত্তরপ্রদেশকে উন্নতির দিশা দেখিয়েছিলেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশ খুন, লুট এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। এসপি এবং বিএসপির শাসনকালে দুর্নীতি শিখর ছুঁয়ে ফেলে। ঋণভারে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছিল। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সারা দেশে উত্তরপ্রদেশের ভাবমূর্তির উন্নতি হয়েছে। আগের সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরিসংখ্যান নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ২০১২ সালে রাজ্যে ২২৭টি দাঙ্গা হয়। ২০১৩ তে এই সংখ্যা বেড়ে ২৪৭ পৌঁছায়। ২০১৪ তে ছিল ২৪২, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১৯ এবং ১০০। কয়েক’শো কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। বিজেপি শাসনকালে একটিও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বা অপহরণের মতো ঘটনা ঘটেনি। শান্তি ফিরে আসায় রাজ্যে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যাঁরা রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরাও ফিরে এসেছেন।
যোগী আদিত্যনাথের এই দাবিকে আক্রমণ করে বিরোধীরা বুলন্দশহরের ঘটনা তুলে ধরেছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের বক্তব্য, বুলন্দশহরের মতো সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা এরাজ্যে আগে হয়নি। তার আগে গত জানুয়ারিতে কাসগঞ্জ এলাকায় জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করার এক ২২ বছরের যুবককে গুলি করে হত্যা করে এক দল দুষ্কৃতী। এই ঘটনা থেকে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যা ক্রমশ সংঘর্ষের রূপ নেয়। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার ওই শহরে স্বাধীনতা দিবসের মিছিলও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যদিও সেই সব ঘটনার উল্লেখ সরকারের রিপোর্ট কার্ডে করেননি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।