গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
৪০ আসনের বিধানসভায় এভাবেই কোনওমতে গরিষ্ঠতা স্পর্শ করে আছে এনডিএ। কিন্তু কংগ্রেস দাবি করেছে, তারা যেহেতু একক বৃহত্তম পার্টি তাই তাদের সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া হোক। আর একবার ডাকা হলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে। অর্থাৎ অন্য দল ও নির্দল সদস্যরা তখন কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে। যে কোনও সময় তাই পালাবদল হওয়ার আশঙ্কা আছে বুঝে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব গোয়ার সরকার বাঁচাতে মরিয়া। আজ সকালেই স্থির হয়েছে প্রমোদ সাওয়ান্তকে পরবর্তী মু্খ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে। রাতেই শপথ। কিন্তু কোনওভাবেই সেটা মানতে চায়নি বাকি সমর্থনকারী দুই দল। এবং তারা হুমকি দেয় এরকমভাবে তাদের কথা মানা না হলে কংগ্রেসকই সমর্থন করবে তারা। এই হুমকির জেরে বিজেপি রীতিমতো ব্যাকফুটে গিয়ে শেষ পর্যন্ত এই দুই তিন সদস্য বিশিষ্ট দলের একজন করে বিধায়ককে উপ মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়ার দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। আজ স্থির হয়েছে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত্যক পার্টির দুই বিধায়ককেই করা হবে উপ মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই শর্তেই ওই দলগুলি প্রমোদ সাওয়ান্তকে মু্খ্যমন্ত্রী পদে মেনে নিতে রাজি হয়েছে। এই নিয়ে জাতীয় রাজনীতিও তুমুল উত্তপ্ত। কারণ লোকসভা ভোটের আগে যদি গোয়ার সরকার পড়ে যায় এবং কংগ্রেস আর একটি রাজ্য দখল করে নেয় তাহলে সেটা এক ধাক্কায় কংগ্রেসের মনোবল বাড়িয়ে দেবে। যদিও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব স্থির করেছিল যদি একান্তই সরকার পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয় তাহলে কংগ্রেস যেন কিছুতেই সুবিধা না পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেই কারণেই বিধানসভাকে ‘সাসপেণ্ডেড অ্যানিমেশনে’ রেখে দেওয়ার মতো পদক্ষেপের দিকেও যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত গোয়া বিধানসভার স্পিকার। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেও যে বিজেপির বিপদ কাটছে তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কারণ গোয়ায় মনোহর পারিক্কর ছিলেন অনেক ওজনদার রাজনীতিবিদ। তাঁর প্রভাবের ধারেকাছে আর কোনও নেতা বিজেপিতে নেই। সুতরাং প্রমোদ সাওয়ান্ত কতদিন গদি টিকিয়ে রাখতে পারবেন সেটাও বড় উদ্বেগের কারণ বিজেপির কাছে। অন্তত ভোট পর্যন্ত যেন সরকার টিকে থাকে সেটাই চাইছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
শেষ শ্রদ্ধা মোদির। ছবি: পিটিআই