বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০০৪ সালে ১৯ বছর বয়সি এক কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা চালায় দুই অভিযুক্ত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই অভিযুক্তের মাথাপিছু অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা করে জরিমানা ধার্য করে আদালত। ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ বছর জেলবন্দি ওই দুই অভিযুক্তের মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের দুই বিচারপতি এ এম খানউইলকার এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগি জানান, বর্বোরচিত ও নৃশংস হামলার শিকার হয়েছিলেন ওই কিশোরী। এই ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে নরম মনোভাব দেখানোর কোনও জায়গা নেই। বেঞ্চের তরফে আরও জানানো হয়, অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে বা আক্রান্তকে অর্থসাহায্য করে এই ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি, হিমাচল প্রদেশ সরকারকে আক্রান্ত কিশোরীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালের ১২ জুলাই কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা চালায় দুই অভিযুক্ত। নিম্ন আদালতে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন জানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়। পাশাপাশি দু’জনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন রায়দান করে বিচারপতি এ এম খানউইলকার এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির বেঞ্চ।