পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই চিত্রকূট অঞ্চলে একসময় দাপিয়ে বেড়াতেন মালখান। তাঁর সন্ত্রাসের কাহিনী দুই প্রদেশ ছাড়িয়ে দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। মাথায় কমপক্ষে ৯৪টি মামলা নিয়ে ১৯৮২ সালে মধ্যপ্রদেশের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন সিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেন মালখান। ৯৪টি মামলার মধ্যে ১৭টি খুন, ১৯টি খুনের চেষ্টা, ২৮টি অপহরণ এবং ১৮টি ডাকাতির অভিযোগে দীর্ঘদিন জেলে কাটান ‘ডাকু’ মালখান। আজ সে সব অতীত। ডাকাত পরিচয়কে দূরে সরিয়ে জননেতা হতে চান মালখান সিং। প্রায় দু’দশক বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর এখন কংগ্রেসের দিকে ঝুকেছেন। সেই প্রশ্ন উঠতেই ঘোলাটে চোখে তীক্ষ্ম দৃষ্টি হেনে হঠাৎই গম্ভীর হয়ে গেলেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা আসাতেই কী দল পরিবর্তন? সরাসরি জবাব না দিয়ে শুধু জানালেন, যদি কোনও দল থেকে টিকিট না পাই, তাহলে অন্য কিছু ভাবব। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই। আমার সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৫ লক্ষ ভোটার উত্তরপ্রদেশেও ছড়িয়ে আছেন। যদি কংগ্রেস আমাকে টিকিট দেয়, তাহলে আমি তাদের বোঝাব। আমার বিশ্বাস ৫৫ লক্ষ ভোট কংগ্রেস পাবে। বান্দা কেন্দ্রে বর্তমানে ২ লক্ষ ৩৩ হাজার খানগার রাজপুত ভোট এখন তাঁর পকেটে বলে দাবি করলেন আত্মবিশ্বাসী প্রাক্তন ডাকাত সর্দার। যদিও মালখানকে টিকিট দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব কোনও আশ্বাস দেননি। কিন্তু টিকিট পেতে মালখান সোজা দিল্লি গিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ‘ডাকু’ মালখান এমপি হতে চান।