গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৪ সালে বেগুসরাই থেকে লড়তে চেয়েছিলেন গিরিরাজ। জাতপাতের অঙ্কে বেগুসরাইতে তিনি কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূমিহার সম্প্রদায়ের বাস এখানে। গিরিরাজও একজন ভূমিহার। তখন সেই আসন দেওয়া হয় ভোলা সিংকে। গিরিরাজ পেয়েছিলেন তখনকার অপেক্ষাকৃত কম নিরাপদ নওয়াদা কেন্দ্র। এরপরেও মোদি ঝড়ে নওয়াদা কেন্দ্রে উতরে গিয়েছিলেন গিরিরাজ। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। গিরিরাজের দাবি, এই কেন্দ্রের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। এলাকার মানুষও তাঁকে প্রতিদান দিতে তৈরি। এই অবস্থায় কেন্দ্র বদল করে তাঁর প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, দর কষাকষির সময় মুঙ্গের আসনের বিনিময়ে এলজেপিকে নওয়াদা আসনটি ছাড়া হয়েছে। ঘনিষ্ঠ সহযোগী লালন সিংয়ের জন্য এই আসনটির জন্য জোরাজুরি করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মুঙ্গেরের সংসদ সদস্য ছিলেন লালন সিং। গত লোকসভা নির্বাচনে এলজেপি প্রার্থী মাফিয়া ডন সুরজ ভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবীর কাছে হেরে যান লালন সিং। ভোলা সিংয়ের মৃত্যুতে বেগুসরাই আসনটি এখন ফাঁকা রয়েছে। এবার সেই কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হতে পারে গিরিরাজ সিংকে। সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হতে পারে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে। বেগুসরাই থেকে তাঁকে সিপিআই প্রার্থী করতে পারে বলে খবর। আর সেই লড়াই এবার সহজ হবে না। একে তো বেগুসরাই সিপিআইয়ের শক্ত ঘাঁটি। ‘বিহারের মস্কো’ নামে পরিচিত বেগুসরাই। তার উপর গিরিরাজের মতোই কানহাইয়াও ভূমিহার। -ফাইলচিত্র