কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মৃতদের মধ্যে দু’জন গুজরাতের ভারুচ ও নভসারি জেলার বাসিন্দা। বাকি দু’জন বাবা-ছেলে ভদোদরার নাগরিক। ইয়াসমিন ভোরা জানিয়েছেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আত্মীয় আসিফ ভোরা (৫৮) স্ত্রীকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড বসবাসরত ছেলে রামিজ ভোরার (২৮) কাছে যান। সম্প্রতি রামিজ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। নাতিকে দেখতেই সস্ত্রীক আসিফের সেখানে যাওয়া। কিন্তু, গত শুক্রবার বাবা আসিফকে নিয়ে ওই মসজিদে যান রামিজ। সেখানেই বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ হারান তাঁরা। আসিফ ও রামিজের দেহ ফেরাতে ভদোদরার এমপি রঞ্জন ভাটের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইয়াসমিন।
অন্যদিকে, পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে কয়েক সপ্তাহ আগেই নিউজিল্যান্ডে যান ভারুচের লুওয়ারা গ্রামে ইমাম হাফিজ মুসা প্যাটেল (৫৬)। তাঁর আত্মীয় আয়ূব ঘাদি জানিয়েছেন, ‘গত তিন দশক ধরে ফিজিতে বসবাস করেছেন হাফিজ। তাঁর দুই কন্যা ও তিন পুত্র যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বাস করেন। সপ্তাহ তিনেক আগে নাগরিকত্ব নিশ্চিত হতেই নিউজিল্যান্ডে যান হাফিজ। শুক্রবার ওই মসজিদে বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।’ এছাড়া নভসারির বাসিন্দা জুনেইদ খানও ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
শুধু গুজরাত নয়, কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা অ্যানসিয়া আলিবাবা (২৭) নিউজিল্যান্ডের মসজিদ হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানকার একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম টেক করছিলেন তিনি। ঘটনার দিন স্বামীর সঙ্গে মসজিদে গিয়েছিলেন আলিবাবা। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তিনি। কিন্তু, কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচে যান আলিবাবার স্বামী। তিনিই কেরলে শ্বশুরবাড়িতে জঙ্গিহামলার খবরটি দেন। আলিবাবার দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে নিউজিল্যান্ডে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর।