পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পরেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনে এই ব্যাপারে সম্মিলিতভাবে দরবারও করে তারা। দাবি করা হয়, ফের পুরনো ব্যবস্থা পেপার ব্যালট ফিরিয়ে আনা হোক। কিন্তু কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, পেপার ব্যালটে ভোট লুঠের সম্ভাবনা থাকে। বুথ দখলের মতো অভিযোগও ওঠে। তাই লোকসভা নির্বাচন হবে ইভিএমে’ই। একইসঙ্গে কমিশন জানিয়ে দেয়, ভোটিং মেশিনে কোনও জালিয়াতি করা যায় না। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ দূর করতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সমস্ত ইভিএমের সঙ্গে ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা ভিভিপ্যাট থাকবে। যাতে ভোটররা যাঁকে ভোট দিলেন তার নাম দেখা যাবে।
কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি বিরোধীরা। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, কংগ্রেস নেতা কে সি. বেণুগোপাল, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়ান, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, মায়াবতীর দলের নেতা সতীশচন্দ্র মিশ্র, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো ২১ টি দলের নেতারা একযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। এবার তাঁদের দাবি, ইভিএমে ভোট হোক। কিন্তু গণনায় মেশিনের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাটের স্লিপও গুনতে হবে। আজ ছিল মামলার প্রথম দিনের শুনানি। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আবেদন করতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে কমিশনকে নির্দেশ দেন, কমিশনের কোনও সিনিয়র অফিসারকে যেন আদালতকে সহায়তা করার জন্য নিয়োগ করা হয়। আগামী ২৫তারিখ শুনানি।