বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বস্তুত, ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও উপত্যকায় এখনও জঙ্গিদের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রার্থীদের। গত নভেম্বরে উপত্যকায় পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। জঙ্গিরা সেই ভোট বয়কট করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই হুমকি অগ্রাহ্য করেই বহু মানুষ ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে তিন মাস। কিন্তু ঘরে ফিরতেই পারছেন না পঞ্চায়েতের বহু জয়ী প্রার্থী। জয়ী প্রার্থী মুস্তাক আহমেদ (নাম পরিবর্তিত) জানালেন, এখন শ্রীনগরে উদ্বাস্তুদের মতো দিন কাটাচ্ছি। গত তিন মাসে মাত্র তিনবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। আমার মতো দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক জয়ী ব্যক্তিই এখন শ্রীনগরে অভিজাত এলাকায় হোটেল বা গেস্ট হাউসে বন্দির জীবন কাটাচ্ছি। এখানে নিরাপত্তা রয়েছে। কিন্তু নিজের গ্রামে সেই নিরাপত্তা নেই। মুস্তাক বলছেন, পঞ্চায়েতে জয়ী হয়ে কিছুই লাভ হয়নি। কারণ পঞ্চায়েতের কাজই শুরু হয়নি। হতে পারে আমরা ভেবেছিলাম, সরকারের কাজ শুরু হলে সাধারণ মানুষ আমাদের সমর্থন করবে। কিন্তু এখনও সরকার কোনও বড় ঘোষণা করেনি।
যোগীলঙ্কর এলাকার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আসিফ আহমেদ বেগ জানান, জয়ী প্রার্থীদের জন্য সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনও ব্যক্তিগত সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। ফলে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করা আমাদের পক্ষে সম্ভবই হচ্ছে না। তিনি বলেন, এই সুরক্ষার অভাবের কারণেই নিজ নিজ এলাকা পরিদর্শনও করা যাচ্ছে না। এক পুলিস আধিকারিকও কার্যত ওই সুরক্ষার অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী বা অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকেরে জন্য এভাবে আলাদা করে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সংখ্যাটা অনেক বেশি। সংসদ বা বিধানসভা ভোট হলে তবু ওই সুরক্ষা দেওয়া যেত। তবে যাঁদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।