বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বারাণসীতে নির্বাচনী প্রচারে হোক বা গঙ্গার ঘাটে আরতি, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, মা গঙ্গার ডাকেই তিনি সেখানে ছুটে গিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোদির ওই বক্তব্যকে উল্লেখ করেই সমালোচনার সুর চড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রিয়াঙ্কার। বারাণসীর হাল কেন বদল হয়নি? কেন এখনও স্বচ্ছ নির্মল হল না গঙ্গা? সংযত অথচ সমালোচনার পারদ চড়িয়েই মোদির ব্যর্থতা তুলে ধরতে চান প্রিয়াঙ্কা।
তবে এলাহাবাদ থেকে বারাণসীর এই প্রচারে আপাতত কোনও নির্বাচনী সভা থাকছে না প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। উত্তরপ্রদেশে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ সম্পূর্ণ হলেই সেখানে জনসভা হবে বলে জানা গিয়েছে। জনসভা এখনই না হলেও লখনউকে কেন্দ্র করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কর্মিসভা শুরু করে দিয়েছেন। সেখান থেকে রিপোর্ট নিয়েই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে মোদি জমানায় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রাসী আচরণ অনুকরণের বদলে ঠিক তার বিপরীত স্টাইল নেবেন বলেই ঠিক করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গুজরাতের গান্ধীনগরের জনসভায় তা দেখিয়েও দিয়েছেন। সেই রেশ বজায় রেখেই ট্যুইটার থেকে প্রকাশ্যে প্রচারেও জোর দেবেন তিনি।
তবে খেয়াল রাখা হচ্ছে, আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে প্রচারের কোনও ছবিতে যাতে ভুল বার্তা না যায়। গতকালই ভীম সেনার নেতা চন্দ্রশেখরকে মিরাটের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে চিকিৎসারত চন্দ্রশেখরের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কয়েকটি হাসিমুখের ছবি মিডিয়াকে দেওয়া হয়েছিল। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাজ বব্বরও। কিন্তু অসুস্থ একজনের সঙ্গে এভাবে হাসিমুখের ছবি প্রচারে ভুল বার্তা যেতে পারে ভেবে তড়িঘড়ি তা সরিয়ে নেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে খবর, স্বাভাবিক রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের কোনও অংশকে নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ বা পাল্টা বক্তব্য রাখবেই। কিন্তু তাঁর কোনও বক্তব্য তথা আচরণে যাতে নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহ কোনও জবাব দিতে না পারেন, সেদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী খেয়াল রাখছেন। প্রিয়াঙ্কা দলের কর্মিসভায় বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদিকে এমনভাবে চেপে ধরতে হবে যাতে বিজেপি তার কোনও উত্তর না দিতে পারে।’