বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
স্মৃতি ইরানির পাশাপাশি বিজেপি তাদের বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সঞ্জয় ভাণ্ডারির সঙ্গে রাহুলের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিজেপির অভিযোগের সূত্র সম্প্রতি একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবর। ওই পোর্টালের মত, জামাইবাবু রবার্ট ওয়াধেরার বন্ধু সঞ্জয় ভাণ্ডারির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল রাহুলের। ছোট গাড়ি ব্যবসায়ী হিসেবে শুরু করা সঞ্জয় ভাণ্ডারির জীবন বদলে যায় ২০০৪ সালে রবার্ট ওয়াধেরার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর। ইউপিএ সরকারের আমলে একপ্রকার বিনা শুল্কে বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করে এদেশে বেশি দামে বিক্রি করা থেকে শুরু করে অস্ত্র ব্যবসায় নাম জড়ায় সঞ্জয়ের। রাফাল চুক্তির সময় মধ্যস্থতা করার অভিযোগও ওঠে। দুবাইয়ের এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর সূত্রে সঞ্জয় ভাণ্ডারির সঙ্গে আলাপ হয় রাহুল গান্ধীর। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস সরকারের সাহায্যে অস্ত্র ব্যবসায় ফুলেফেঁপে ওঠেন সঞ্জয় ভাণ্ডারি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ইডির নজরে পড়তেই সঞ্জয় ভাণ্ডারি দেশত্যাগ করেন। এই খবরকে হাতিয়ার করে রাহুল গান্ধী এবং রবার্ট ওয়াধেরাকে ঘিরে ধরতে চাইছে বিজেপি। স্মৃতি ইরানির বক্তব্য, রাহুল রাফাল চুক্তির বিরোধিতা করছেন কারণ তাঁর পছন্দের কোম্পানি সুযোগ পাইনি।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রশ্ন, রাহুল গান্ধী এবং এইচ এল পাহাওয়ানের মধ্যে কী ধরনের লেনদেন হয়েছিল? নিউজ ওয়েব পোর্টালের দাবি, হরিয়ানার জনৈক এইচ এল পাহাওয়ানের কাছ থেকে অত্যন্ত কম দামে জমি কিনেছিলেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পরে সেই জমি প্রায় তিনগুণ বেশি দামে ফের রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন পাহাওয়ান। রবার্ট ওয়াধেরা বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির তদন্তের সময় পাহাওয়ানের বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, কয়েক কোটি টাকা লোকসান করে ফের জমি ক্রয় করেন পাহাওয়ান। কিন্তু কেন? উত্তরে নিউজ পোর্টাল জানিয়েছে, দুবাইয়ের ব্যবসায়ী সি সি থাম্পির কাছ থেকে ওই জমি পুনরায় কিনে নেওয়ার জন্য ৫৪ কোটি টাকা পেয়েছিলেন পাহাওয়ান। এই সি সি থাম্পির সূত্রেই সঞ্জয় ভাণ্ডারির সঙ্গে পরিচিত হন কংগ্রেস সভাপতি। এই খবর তুলে ধরে স্মৃতি ইরানি বলেন, এটা রাহুল গান্ধী এবং রবার্ট ওয়াধেরার মিলিত পারিবারিক দুর্নীতি। তিনি আরও বলেন, সমস্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সঞ্জয় ভাণ্ডারির যোগাযোগ আছে। রাহুল দুর্নীতির মুখ। অবিলম্বে তাঁকে এই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হবে। গত ৭০ বছর ধরে গান্ধী পরিবার দেশকে শুধু দুর্নীতি উপহার দিয়েছে। স্মৃতি ইরানির পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূরজওয়ালে বলেন, ভয়ের আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো অভিযোগ তুলে বাজার গরম করতে চাইছেন।