বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিন দিল্লি নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, ‘দিল্লিতে আমরা এককভাবে নির্বাচনে লড়ব। ৭টি আসনেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পাবে আপ।’ পাল্টা, দলীয় সভায় রাহুলও দিল্লির সাতটি আসনেই কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন কর্মীদের।
এদিকে, পাঞ্জাবেও আসন সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেজরিওয়াল। সে রাজ্যের শিরোমণি অকালি দল ভেঙে নতুন দল গড়েছেন সাংসদ রঞ্জিত সিং ব্রহ্মপুরা, প্রাক্তন সাংসদ রতন সিং আজনালা ও সেওয়া সিং শেখওয়ান। দলের নাম দিয়েছেন শিরোমণি অকালি দল (তখশালি)। রঞ্জিত-রতন-শেখওয়ানের হাতে গড়া এই দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে আপ। দলের সুপ্রিমো জানিয়েছেন, ‘জোট নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু করেছেন পাঞ্জাবের আপের আহ্বায়ক ভাগবত মান। খুব শীঘ্রই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে জোট নিয়ে সুর নরম করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বিজেপিকে হারানো যে সহজ হবে না, সেকথা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তিনি। আপ প্রধানের মতে, নির্বাচনের আগে দেশ দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে, যারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবার ক্ষমতায় আনতে চায়। অন্যদিকে রয়েছেন, মোদি-অমিত শাহ জুটিকে যারা হারাতে চায়। এই পক্ষের মানুষের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায়, লাভ হচ্ছে বিজেপির। তাই দেশের পক্ষে ক্ষতিকর মোদি-শাহ জুটিকে হারাতে সবাইকে একজোট হতেই হবে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে পূর্ণরাজ্যের দাবিকেই বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে মূল হাতিয়ার করতে চলেছে আপ। এই নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে দল। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ‘দিল্লিকে পূর্ণরাজ্যের অধিকার দেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই বিজেপির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লি এখনও সেই অধিকার পায়নি। তাই মোদিকে এই নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। ’ শুধু বিজেপি নয়, এই ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন কেজরিওয়াল। প্রসঙ্গত, আগামী ১২ মে দিল্লির সবক’টি কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট বলে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।