চেন্নাই ও পাটনা, ১৩ মার্চ (পিটিআই): কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। বুধবার তামিলনাড়ুর নাগেরকোইলে কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা বললেন এম কে স্ট্যালিন। এর আগে ডিসেম্বর মাসে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পক্ষে সওয়াল করছিলেন এই ডিএমকে নেতা। এদিনের জনসভায় তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাহুল গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কংগ্রেস সভাপতির উদ্দেশে তাঁর আরও বক্তব্য, আপনার হাতে দেশ নিরাপদ হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। পাশাপাশি স্ট্যালিনের দাবি, তামিলনাড়ুতে ২০০৪ সালের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি হবে আসন্ন লোকসভা ভোটে। সব আসনে জিতবেন ইউপিএ প্রার্থীরা।
স্ট্যালিনের মতো এদিন রাহুল গান্ধীর পক্ষে সওয়াল করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝিও। বুধবার হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চার (এইচএএম) প্রধান বলেন, বিরোধী মহাজোট ক্ষমতায় এলে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান তিনি। বিহারে মহাজোটের আসন রফা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে রাহুল গান্ধীর হয়ে সওয়াল করলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুখ করেই লোকসভা নির্বাচনে যাচ্ছে এনডিএ। কিন্তু বিরোধীদের তরফে ভোটের আগে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে না। এবিষয়ে এদিন পাটনায় মাঝি বলেন, এর অতীত নজির রয়েছে। দল বা জোটগুলি আগেও কোনও মুখ সামনে না রেখে ভোটে লড়েছে। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত জানতে চাইলে বলব, রাহুল গান্ধীরই প্রধানমন্ত্রী পদ পাওয়া উচিত।
এনডিএ ছেড়ে সম্প্রতি বিহারের মহাজোটে যোগ দিয়েছে উপেন্দ্র কুশওয়ার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএলএসপি)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কুশওয়া। দিল্লিতে মহাজোটের বৈঠকের আগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দলের টিকিট বিক্রি করছেন আরএলএসপি প্রধান। বুধবার সেই অভিযোগ খারিজ করে কুশওয়া বলেন, যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা অভিযোগ প্রমাণ করুন। তাঁদের সূত্রধর কে, তা আমার জানা। এক্ষেত্রে নাম না করে নীতীশ কুমারের দিকে ইঙ্গিত কুশওয়ার। উল্লেখ্য, গতকাল কুশওয়ার বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন দল থেকে বহিষ্কৃত দুই নেতা প্রদীপ মিশ্র ও নাগমণি।