বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
উত্তর ভারতের এই মরু-রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু, রাজ্যের মোট ২৫টি লোকসভা আসনের ২৩টিই রয়েছে বিজেপির দখলে। এবারের নির্বাচনে ১০টি আসনে বিজেপি বিদায়ী সাংসদদের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি মদনলাল সাইনি সাফ জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যে ১৩ থেকে ১৫টি আসনে দল সুবিধামতো জায়গায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করতে খুব শীঘ্রই দু’টি বৈঠক করা হবে। রাজ্যের মোট আসনের অর্ধেক আসনেই প্রার্থী বাছাইয়ে আমরা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছি। তবে, বেশ কয়েকটি আসনের বিদায়ী সাংসদের এবার টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশের সঙ্গে ওই বিদায়ী সাংসদদের কাজ এবং তাঁদের সম্পকর্কে দলীয় কর্মীদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমনই একটি লোকসভা আসন হল জয়পুর। সেখানে ২০১৪ সালে জয় পেয়েছিলেন রামচন্দ্র বোহরা। সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন এই বিজেপি সাংসদ। এবারও এই আসনটি ধরে রাখার বিষয়ে বদ্ধপরিকর তিনি। অন্যদিকে, এই আসনেই ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন জয়পুর রাজপরিবারের সদস্য প্রাক্তন বিধায়ক দিব্যা কুমারি। জয়পুর জেলটি দু’টি ভাগে বিভক্ত — জয়পুর এবং জয়পুর গ্রামীণ। জয়পুর গ্রামীণের প্রতিনিধিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। রাজ্যবর্ধন এবং দিব্যা দু’জনেই রাজপুত। কিন্তু, জাত-পাতের রাজনীতির অঙ্ক মেলাতে জয়পুরের দু’টি আসনেই রাজপুত প্রার্থী দাঁড় করাতে নারাজ বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। তাই সম্প্রতি টোঙ্ক এবং সোয়াইমাধোপুরের স্থানীয় নানা অনুষ্ঠানে দিব্যাকে পাঠাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির সময় ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সোয়াইমাধোপুর কেন্দ্রে বিধায়ক ছিলেন দিব্যা। কিন্তু, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি। তবে, এবারের লোকসভা ভোটে ফের তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও স্পষ্ট করে কোনও আসনের নাম করেননি। অন্যদিকে, শ্রীগঙ্গানগর, বারমের, ঝুনঝুনু, চুরু এবং ভরতপুর কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই নিয়েও সমস্যায় পড়তে পারে বিজেপি।
রাজ্যের বর্তমান শাসক কংগ্রেসকে বারমের আসনটি বেকায়দায় ফেলতে পারে। সেখানে রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী হরিশ চৌধুরি যেমন টিকিট চাইছেন, তেমনই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহার ছেলে মানবেন্দ্র সিংও একই দাবিতে সরব হয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট বলেন, ‘আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য কংগ্রেস প্রস্তুত রয়েছে। জিততে পারবেন, এমন প্রার্থীদেরই টিকিট দেওয়া হবে। তবে আমাদের প্রার্থী তালিকায় যুব সমাজের উপর বেশি জোর দেওয়া হবে।’