পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ভারতকে তিনি ১০ ট্রিলিয়ন বা ১০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি ও আর্থিকভাবে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ দেশে পরিণত করতে চান। অগণিত স্টার্টআপ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ও ইলেক্ট্রিক গাড়ির নিরিখে বিশ্বনেতায় পরিণত করতে চান দেশকে। তাঁর দাবি, ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কোমরভাঙ্গা মুদ্রাস্ফীতি, চলতি খাতে ক্রমবর্ধমান ঘাটতি ও বাড়তে থাকা আর্থিক ঘাটতি ক্ষুদ্র অর্থনীতির স্থিতাবস্থার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। আর এর পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে তুলোধোনা করতে শুরু করেন মোদি। তাঁর তোপ, মন্ত্রকগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল, ছিল ব্যক্তি প্রতিযোগিতা, দুর্নীতির প্রতিযোগিতা, বিলম্বের প্রতিযোগিতা। কে কত বেশি দুর্নীতি করতে পারে, তার প্রতিযোগিতা ছিল। প্রতিযোগিতা ছিল দুর্নীতি করার উদ্ভাবনী ক্ষমতার। কয়লার ব্লক বণ্টক হোক বা স্পেকট্রাম বণ্টন, কমনওয়েলথ গেমস হোক বা প্রতিরক্ষা চুক্তি, কোথা থেকে টাকা কামানো যায় তার প্রতিযোগিতা ছিল। আমরা সবাই এটা দেখেছি। এই প্রতিযোগিতার নেপথ্যের চরিত্র কারা ছিল, তাও আমাদের জানা। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে এসবের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে আরও বেশি বিনিয়োগ টানার প্রতিযোগিতা। গবিরদের জন্য বাড়ি বানানোর প্রতিযোগিতা। সড়ক নির্মাণ ও গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিযোগিতা। ১০০ শতাংশ নিকাশি ও বিদ্যুদয়নের প্রতিযোগিতা। উন্নয়ন নিয়ে লক্ষ্যমাত্র পূরণে এখন প্রতিযোগিতা চলছে বিভিন্ন মন্ত্রক ও রাজ্যগুলির মধ্যে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গড় আর্থিক বৃদ্ধি হতে চলেছে ৭.৪ শতাংশ। গড় মুদ্রাস্ফীতির হার হতে চলেছে ৪.৫ শতাংশের নীচে। ভারতীয় অর্থনীতির উদারিকরণ পরবর্তী যুগে যে কোনও সরকারের তুলনায় এটাই সাফল্যের সবচেয়ে বড় পরিসংখ্যান। প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি, ২০১৪ সালের আগে সম্পূর্ণ নীতি পঙ্গুত্বের মুখে পড়েছিল দেশ। কিন্তু ২০১৪ সালের পর যাবতীয় দ্বিধা ও বাধা আশায় বদলে গিয়েছে। বদলটা আজ সুস্পষ্ট।