গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের আগে তরুণ সম্প্রদায়ের মন জয়ে সচেষ্ট কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শনিবার দিল্লিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন তিনি। পড়ুয়াদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন রাহুল। সেখানেই রাহুল অভিযোগ করেন, দেশে যে কর্মসংস্থানের অভাব দেখা গিয়েছে, তা মানতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, এসব না করে যুব সমাজের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন নরেন্দ্র মোদি। শিক্ষার অধিকাংশ ব্যয় রাষ্ট্রের বহন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আলাপচারিতায় সংসদে অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টের উল্লেখ করে রাহুল বলেন, দেশে কর্মসংস্থানের ঘাটতির যে চিত্র তিনি তুলে ধরতে চাইছেন, তা মোদি সরকারই সংসদে দিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতে ১২০ কোটি জনগণ রয়েছে। ভারত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫০ কর্মসংস্থান তৈরি করে। সেখানে চীন ২৪ ঘণ্টায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করে। রাহুল বলেন, এসব তথ্য আমার দেওয়া নয়। সংসদে এমন রিপোর্ট দিয়েছে অর্থমন্ত্রকই। এরপরেই মোদিকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আবার এই বিষয়টিকে সমস্যা বলে ভাবতে পারছেন না। রাহুল বলেন, প্রথমে আমাদের মানতে হবে, এটি একটি সঙ্কট। তারপর সেই সঙ্কটের মোকাবিলা কী করে করা হবে তা ভাবতে হবে। কংগ্রেস এমনটাই ভাবে। পড়ুয়াদের উদ্দেশ করে রাহুল বলেন, আমি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছি, রাফাল, দুর্নীতি ও কর্মসংস্থান ইস্যুতে বিতর্কে বসুন। পড়ুয়াদের উদ্দেশ করে রাহুলের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কী একবারও আপনাদের সামনে এসেছেন। আপনাদের সঙ্গে এমনভাবে আলোচনা করেছেন। আপনাদের কাছ থেকে প্রশ্ন শুনতে চেয়েছেন। যুব সমাজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা করা উচিত। কর্মসংস্থান নিয়ে তাঁদের অভিমত জানতে চাওয়া উচিত। কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, নিজের অভিমত যুবদের না দিয়ে, তাঁদের চিন্তাভাবনা জানা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। রাহুল গান্ধী বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে বেসরকারিকরণ করতে হবে, এমন ধারণার পক্ষে নয় কংগ্রেস। শিক্ষার বাজেট বৃদ্ধি হওয়য়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।