কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২৬/১১ হামলা এখনও ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসের দগদগে ঘা হয়ে রয়ে গিয়েছে। সেই ২০০৮ সাল থেকেই নয়াদিল্লি হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রমাণ দাখিল করে গিয়েছে। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ করা তো দূরঅস্ত, হাফিজের বিরুদ্ধে লোক দেখানো কিছু নাটক ছাড়া কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ইসলামাবাদ। বরং অধিকৃত কাশ্মীরে দেদার চলেছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। সেখানে রুটিন ভিজিটও দিয়েছে হাফিজ। লস্করের প্রতিষ্ঠাতা এই জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ বলতে কিছুদিন গৃহবন্দি করে রাখা। ওখানেই শেষ। পাকিস্তানি সরকারের অবশ্য অন্য ভয়ও ছিল। জামাত-উদ-দাওয়ার নেটওয়ার্কের আওতায় তিন শতাধিক সেমিনারি, স্কুল, হাসপাতাল, প্রকাশনা সংস্থা এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চলে। জামাত এবং ফালাহ-এর অধীনে কাজ করে ৫০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। এই সংখ্যাটা অবশ্যই শুধু স্বেচ্ছাসেবকের নয়, পাকিস্তানি জঙ্গিরা এর মধ্যেই সরকারিভাবে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। যে বিপুল পরিমাণ পাকিস্তানি নাগরিককে অর্থ এবং মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে হাফিজ কাবু করে রেখেছে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পাকিস্তানি সরকারের বিলক্ষণ মুশকিল আছে। এছাড়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং আইএসআইও তা হতে দিতে চায় না। কারণ, ভারত বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে হাফিজ তাদের তুরুপের তাস।
কিন্তু পুলওয়ামা হামলার পর ভারত যেভাবে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক দিক থেকে কোণঠাসা করতে শুরু করেছে, তাতে নিজের পিঠ বাঁচাতে এমন একটা সিদ্ধান্ত অন্তত খাতায় কলমে পাকিস্তানকে দেখাতেই হতো। আর সেটাই তারা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাফিজ সইদকে বিশেষ আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করা সত্ত্বেও কিন্তু এতদিন এমন পদক্ষেপ নেয়নি পাকিস্তান। আমেরিকা তো ২০১২ সালে এও ঘোষণা করেছিল, হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলেই ১ কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। তারপরও পাকিস্তান দাবি করে গিয়েছে, হাফিজের বিরুদ্ধে সরাসরি সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ নেই। শোনা যাচ্ছে, ইমরান নাকি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘সন্ত্রাসকে আমাদের সমাজ থেকে উপড়ে ফেলতেই হবে। তার জন্য যা যা করার করুন।’ যদিও পাকিস্তানের মুখ এবং মুখোশ আলাদা হওয়ার ‘সুনাম’ কেউ ভুলে যায় না। এরপরও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, আদৌ কি পাকিস্তান হাফিজ এবং তার সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে? নাকি এও লোক দেখানো?