কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলওয়ামার হামলার পরই সর্বাগ্রে ভারত বন্ধ করে দিয়েছিল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে দেওয়া মোস্ট ফেভারড নেশনের সুবিধা। একইসঙ্গে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা পণ্যগুলির উপর ভারত শুল্ক বৃদ্ধি করেছে ২০০ শতাংশ। ফলে করাচি বন্দরে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার দিয়ে ট্রাক ও জাহাজভর্তি পণ্য দাঁড়িয়ে আছে। সেগুলি ভারতে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে ধাক্কা দেওয়ার পর এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত জলযুদ্ধ ঘোষণা করল। সিন্ধু জল চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের প্রাপ্য জলের অতিরিক্ত অংশ ভারত কী করবে, তা তারাই ঠিক করতে পারে। এমন নয় যে ওই জল পাকিস্তানে প্রবাহিত করতে বাধ্য ভারত। কিন্তু সেই জলপ্রবাহ বন্ধ করা হয়নি। এবার সেই চরম পন্থাই নিচ্ছে ভারত। প্রসঙ্গত এই একই হুঁশিয়ারি ২০১৬ সালে উরিতে সেনাক্যাম্পে পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিদের হামলার পরও ভারত ঘোষণা করেছিল। গত বছর মার্চ মাসেও এই নীতিন গাদকারিই এই মর্মেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। অবশেষে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে সবরকমভাবে শিক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর ভারত সেই ব্যবস্থাও নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
এদিকে ফের বড়সড় বিস্ফোরণ কিংবা সেনাকে লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে কাশ্মীরে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এরকমই বার্তা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর মাসুদ আজহারের অন্যতম প্রধান রিক্রুট রশিদ গাজির পাশাপাশি আরও ১৯ জন জঙ্গি ঢুকেছিল কাশ্মীরে। তাদের মধ্যে অন্তত ১৪ জন এখনও কাশ্মীরে লুকিয়ে রয়েছে সেই তথ্য আগেই জেনেছে সেনা ও আধাসেনা। কিন্তু সাম্প্রতিক গোয়েন্দা বার্তায় জানা যাচ্ছে, ওই জঙ্গিরা ছাড়াও সম্পূর্ণ নতুন একটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গোপনে ডেরা বেঁধেছে। ওই দলে ৬ জন আছে। তবে তারা ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকেছে নাকি এখনও সীমান্তের ওপারেই অপেক্ষা করছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বিগত কয়েকমাস ধরে লাগাতার বিপুল পরিমাণ আরডিএক্স কাশ্মীরে নিয়ে আসার পিছনে আসল লক্ষ্য হল একটি বা দুটি নয়, একের পর এক হামলা করা। গোয়েন্দাবার্তায় বলা হচ্ছে চৌকিবাঈ থেকে তাংধার রুটে হামলা হতে পারে। একটি কম জানা জঙ্গি গোষ্ঠী তানজিমের পক্ষ থেকে শেয়ার করা গোপন বার্তা ইন্টারসেপ্ট করে ভারতীয় গোয়েন্দারা এরকম জানতে পেরেছেন।