গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এর পাশাপাশি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কিষাণ উরজা স্কিম চালু করার কথাও ঘোষণা হয়েছে। এই নয়া প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের জন্য সুসংবাদ আনা হচ্ছে। যে কৃষকদের কাছে অনুর্বর জমি একপ্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেই জমি এবার সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা যাবে। সোলার প্ল্যান্ট বসানোর জন্য সবরকম আর্থিক সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় সরকারই। এর আগে বাজেটে যে ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানে উপকৃত হবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী। আর এবার চাষীদের একটি বড় অংশের সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে এই প্রকল্প মারফৎ। কারণ দেশের প্রতিটি রাজ্যেই অনুর্বর জমি, পরিত্যক্ত জমি একটি প্রধান সমস্যা। এবার সেই জমিকে কাজে লাগানোর একটি প্রকল্প আনা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আজ একটি ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক পলিসির ঘোষণা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে দেশে ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট এবং ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নয়ন বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে সবথেকে বড় যে সেক্টরটির উন্নতি হয়েছে সেটি হল মোবাইল ও কম্পিউটার ক্ষেত্র। রাজ্যে রাজ্যে বহু ইউনিট চালু হয়েছে। সার্বিক ইলেকট্রনিক ক্ষেত্রের এই অগ্রগতির প্রবণতা দেখে সরকার স্থির করেছে এই সেক্টরকে আরও বাড়ানো হবে। তিনি ঘোষণা করেন, শুধুমাত্র এই ইলেকট্রনিক ক্ষেত্রেই এক কোটি কর্মসংস্থান হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, কৃষকদের পাশাপাশি যুব সমাজের কাছে কর্মসংস্থান অন্যতম বড় ইস্যু। লোকসভা ভোটের আগে তাই সরকার চাইছে যুবসমাজকে বার্তা দিতে। ২০১৪ সালে বলা হয়েছিল প্রতি বছর ২ কোটি করে কর্মসংস্থান হবে। সেটি হয়নি। অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়নি আশানুরূপ। আর্থিক বৃদ্ধির জন্য দরকার পরিকাঠামো বৃদ্ধি। পরিকাঠামো উন্নয়ন রীতিমতো থমকে গিয়েছে। তাই শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিনিয়ারিং, রিয়াল এস্টেট এবং সামগ্রিক কর্মসংস্থান ও স্যাটেলাইট টাউপশিপির অগ্রগতিতে আজ একটি বড়সড় ঘোষণা করেছে সরকার। দিল্লি, গাজিয়াবাদ, মিরাট র্যা পিড ট্র্যানজিট করিডর হবে। এই বিশেষ রেল যোগাযোগ হবে ওভারহেড ও আণ্ডারগ্রাউণ্ড উভয়ভাবেই। প্রধানত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে দিল্লির আরও কাছে নিয়ে আসতেই এই প্রকল্প। ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এটি। আজ তিন তালাক ও চিটফান্ড নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়েও ফের অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। তিন তালাক বিল আটকে রয়েছে রাজ্যসভায়। সেটিকে ফের অর্ডিন্যান্স জারি করে ৬ মাসের জন্য বৈধতা দেওয়া হল। চিটফাণ্ড বিল নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার তৃণমূল ও বিজু জনতা দল সরকারকে বার্তা দেওয়া হল বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।