কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বেঙ্গালুরু দমকলের ডিজিপি এম এন রেড্ডি ঘটনাস্থলে যান। দমকলবাহিনী দু’টি এয়ারক্র্যাফটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রেড্ডি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বেঙ্গালুরুর ইয়ালাহাঙ্কা বিমান ঘাঁটিতে পাঁচদিনের যুদ্ধ বিমান প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে এদিন মহড়া চলছিল। তাতে শামিল হয়েছিলেন বিমান বাহিনীর এয়ারোবেটিক টিমের সদস্যরা। আকাশে চক্কর কাটতে কাটতে আচমকাই দু’টি এয়ারক্র্যাফট মুখোমুখি চলে আসে। তখন ঘড়িতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট। পুলিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’টি এয়ারক্র্যাফট একেবারে কাছাকাছি চলে আসায় সঙ্ঘর্ষ হয়। তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন দু’টি জেটের পাইলট। দু’টি এয়ারক্র্যাফটই ভেঙে পড়ে বিমান ঘাঁটির পাশের এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা একটি ভিডিও ক্লিপিংসে দেখা গিয়েছে, আকাশেই জ্বলতে শুরু করে দু’টি এয়ারক্র্যাফট। ভেঙে পড়ার সময় বিকট আওয়াজও হয়। এর পরেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ অফিস সূত্রে জানানো হয়, পাইলট ভি টি শেলকা, টি জে সিং এবং সাহিল গান্ধীকে দু’টি এয়ারক্র্যাফটের ধ্বংসাবশেষ থেকে কোনওরকমে উদ্ধার করা হয়। সাহিলের অবস্থা ছিল গুরুতর। কিছু পরেই তিনি মারা যান। শেলকা এবং সিংকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিমান ঘাঁটির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক সাধারণ নাগরিকও গুরুতর জখম হয়েছেন।