বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আনুষ্ঠানিকভাবে সেমি হাইস্পিড ট্রেনের সূচনা হয় শনিবার। সেদিন বারাণসী থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটিতে খানিক বাধাপ্রাপ্ত হয় ট্রেনটি। তাই নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল এবং অখিলেশ। রাহুল বলেছিলেন, মোদিজি, আপনার মেক ইন ইন্ডিয়া স্লোগান নিয়ে এবার নতুন করে ভাবুন। মানুষ বুঝতে পারছেন, আপনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মোদিকে খোঁচা দিয়ে অখিলেশও বলেছিলেন, কৃষকদের দুর্দশা চলছে, বেকারদের চাকরি নেই। অথচ, উন্নয়নের গল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে ‘বন্দে ভারত’কে। এদিন মোদি বলেছেন, যাঁরা এসব কথা বলছেন, তাঁরা দেশের মেধা সম্পদকে অস্বীকার করছেন, অসম্মান করছেন। সেই মেধা সম্পদের জন্য আমি গর্বিত। আমি দেশের ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদদের কঠোর পরিশ্রমকে কুর্নিশ করি।
পঞ্চদশ শতকের কবি তথা ভক্তি-সাধক সন্ত রবিদাসের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনে বারাণসীতে তাঁর জন্মস্থল উন্নয়নে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এদিন সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এক জনসভায় রবিদাসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত সমাজে বৈষম্য থাকবে ততদিন মানুষ একে অপরের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক গড়তে পারবেন না। জিইয়ে থাকবে পরস্পরের মধ্যে বিরোধিতা। তাই জাতপাত নির্ভর বৈষম্যকে উৎপাটিত করার কথা বলে গিয়েছেন গুরুজি (রবিদাস)। তাঁর কবিতা, ভক্তিগীতিতে বারবারই উচ্চারিত হয়েছে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের বার্তা। তিনি বলেন, জাতিগত বৈষম্য সামাজিক ঐক্যের পরিপন্থী। ব্যক্তিস্বার্থে কিছু লোক নিজেদের পরিচিতির জানান দিতে এই বৈষম্যকে তুলে ধরেন, গুরুত্ব দেন। তবে পরিতাপের বিষয় যেটা, তা হল এই একুশ শতকে এসেও জাতিগত ভেদাভেদ সমাজ থেকে নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর। আর সেই আক্ষেপ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী হাতিয়ার করেছেন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগানকেও। বলেছেন, দেশের সবার কল্যাণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক ভেদাভেদকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। এই কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসতে হবে বর্তমান ভারতের যুব সমাজকে।
এই নিয়ে গত এক মাসে দু’বার বারাণসীতে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সেখানে ডিজেল লোকোমোটিভ থেকে পরিবর্তিত ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ট্রেনের আনুষ্ঠানিক সূচনাও করেন তিনি। ভারতীয় রেল ইতিহাসে এই প্রথম ডিজেল লোকোমোটিভ ট্রেন রূপান্তরিত হয়ে ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ হল। এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর। এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে পরিবর্তিত ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ট্রেনের যাত্রা শুরু হল। এখানে তিনি সরব ছিলেন দুর্নীতির ইস্যুতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততাই হল শান্তির দূত। আমি চেষ্টা করি এই মন্ত্রকে সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিষ্ঠা করতে। তাই বেনামে সম্পত্তি ও কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সেই লড়াই চলবে।