গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লোকসভা এবং এ বছরের শেষে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে লড়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি এবং শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি লড়বে ২৫টিতে এবং শিবসেনা ২৩টিতে। অপরদিকে ২৮৮ আসনের বিধানসভায় ছোট শরিকদের নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়ার পর সম সংখ্যক আসনে লড়বে বলে দুই দল সহমত হয়েছে। এতকিছুর মধ্যে মহারাষ্ট্র জুড়ে একটাই চর্চা, কীকরে এক ছাতার তলায় আবার এল দুই বিবদমান দল— বিজেপি এবং শিবসেনা। উদ্ধব থ্যাকারের দলকে বোঝানো হয়, লোকসভার পরে বিজেপির শক্তি কমলে, দরাদরির ক্ষমতা বাড়বে সেনার। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বিজেপির আসন কমলেও একক বৃহত্তম দল হিসেবে লোকসভায় আত্মপ্রকাশ করবে তারা। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারে শিবসেনার প্রতিনিধিত্ব এবং গুরুত্ব বাড়বে। এবার মন্ত্রিসভায় শিবসেনার প্রতিনিধি রয়েছেন একজন। অনন্ত গীতে কেন্দ্রের ভারীশিল্প মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারে।
ওই নেতা আরও জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে জোট বিজেপির পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। ২০১৪ সালের মতো এবার কোনও ‘হাওয়া’ নেই। দলীয় সংগঠন এবং জোট অঙ্কেই বাজিমাত করতে হবে শাসক দলকে। উত্তরপ্রদেশে আগের মতো সফল হবে না বিজেপি। তাই মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের দিকে তাকিয়ে তারা। আর শিবসেনার সঙ্গে জোটের কথা বলে অন্য রাজ্যেও শরিক খুঁজতে সুবিধা হবে। এদিকে, শিবসেনা এবং বিজেপি জোট করায় মোটেই অবাক নন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ২৫ বছর ধরে তারা একসঙ্গে রয়েছে। তাই এই জোট অপ্রত্যাশিত নয়। একে অপরের বিরুদ্ধে তারা মতামত দিলেও ভোটের আগে বিজেপি এবং শিবসেনা এক হয়ে যায়। এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিক। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দল এনসিপির জোট প্রায় পাকা। কিছু আসন নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন শারদ পাওয়ার।