পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই মুহূর্তে ইএসআইয়ের কর্মী কন্ট্রিবিউশনের হার মাসে ১.৭৫ শতাংশ। আর এমপ্লয়ার্স কন্ট্রিবিউশনের হার মাসে ৪.৭৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃপক্ষ তার কর্মীর হয়ে উল্লিখিত অর্থ ইএসআই খাতে কন্ট্রিবিউট করে। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কর্মী কন্ট্রিবিউশনের হার মাসে ১.৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করা হবে। এবং এমপ্লয়ার্স কন্ট্রিবিউশনের হার মাসে ৪.৭৫ শতাংশ থেকে কমে হবে চার শতাংশ। কারা থাকেন এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আওতায়? কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম (ইএসআইসি) জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের যেসব সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কলকারখানায় কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন, সেইসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠান ইএসআইয়ের আওতায় থাকে। ওই সংস্থাগুলির যেসব কর্মচারীর মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে ইএসআইয়ের অধীনে থাকেন। প্রতি মাসে আওতাভুক্তদের বেতনের (ওয়েজ) ১.৭৫ শতাংশ করে অর্থ জমা পড়ে ইএসআই অ্যাকাউন্টে। তাঁদের হয়ে সংস্থা কর্তৃপক্ষ জমা দেয় আরও ৪.৭৫ শতাংশ অর্থ। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, সম্পূর্ণভাবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ কম কন্ট্রিবিউশন জমা পড়লে শ্রমিক-কর্মচারীরা অনেক বেশি অর্থ যেমন বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন, তেমনই কম টাকা কন্ট্রিবিউট করে একই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। একইভাবে উপকৃত হবেন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান কিংবা কলকারখানার মালিকেরাও। যা আগামীতে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এই মুহূর্তে সারা দেশের প্রায় তিন কোটি শ্রমিক-কর্মচারী এহেন সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন। সবমিলিয়ে ইএসআইয়ের উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি। যার মধ্যে শুধুমাত্র মহিলাই রয়েছেন ৪০ লক্ষের বেশি। এবং সারা দেশের প্রায় ন’লক্ষ সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং কলকারখানা কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের আওতায় রয়েছেন। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার সম্প্রতি জানিয়েছেন, আওতাভুক্ত হওয়ার যোগ্য, অথচ কোনও কারণে এই পরিষেবা পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ পেলেই নির্দিষ্ট প্রতিনিধিদলকে পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার। ইএসআইয়ের আওতায় যাতে আরও বেশি মানুষকে নিয়ে আসা যায়, সেই লক্ষ্যেও কাজ করবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। ইএসআই খাতে কন্ট্রিবিউশনের হার কমানোর সিদ্ধান্ত সেই পরিকল্পনারই অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।