নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। পুলওয়ামায় জয়েশ জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। শুক্রবার বিকেলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেছেন বোল্টন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ভারতের তরফে ক্রমাগত অভিযোগ করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তা নিয়েও দু’তরফে কথা হয়েছে। জয়েশ-ই-মহম্মদ সুপ্রিমো মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বসেই ভারতে বিভিন্ন জঙ্গিহানায় মদত দিচ্ছেন। তাই, মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি যে কতটা যুক্তিযুক্ত, তাও নিয়েও অজিত দোভাল বিস্তারিত কথা বলেছেন বোল্টনের সঙ্গে। সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রোখার ক্ষেত্রে ভারতকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হওয়া সিআরপিএফ জওয়ানদের প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ করার জন্যই ফোনটি করেছিলেন বোল্টন। ওয়াশিংটনে সংবাদসংস্থাকে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন তিনি। বোল্টন বলেছেন, আমেরিকা পাক প্রশাসনকে একাধিকবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, পাক ভূখণ্ড যেন জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে না ওঠে। এর আগেই হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর তরফে এই ইস্যুতে পাকিস্তানকে সতর্ক করা হয়েছে। বোল্টন জানিয়েছেন, ‘আমি অজিত দোভালকে বলেছি, আত্মরক্ষার্থে ভারত যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে। আর সেই পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমেরিকার। নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকায় যে সব জঙ্গি সংগঠন এবং জঙ্গি নেতাদের নাম রয়েছে, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার জন্য শুক্রবারই পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০০২ সালেই জয়েশ-ই-মহম্মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল পাক প্রশাসন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এই সংগঠন পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় রয়েছে। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে জয়েশ-ই-মহম্মদকে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন আখ্যা দেয় মার্কিন প্রশাসন। এই জঙ্গি সংগঠন ভবিষ্যতে যাতে আরও কখনও কোনও হামলা চালাতে না পারে, না নিশ্চিত করতে সবরকমের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে আমেরিকা।