কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার আগাগোড়া উত্তর-পূর্বের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, নাগাল্যান্ডে অন্যতম দুই জঙ্গি গোষ্ঠী এনএসসিএন (আইএম) এবং এনএনপিজি (নাগা ন্যাশনাল পলিটিক্যাল গ্রুপ)-এর সঙ্গে ভারত সরকার আলোচনা করছে। যদিও সেটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। মনে করা হচ্ছে, এই আলোচনার সুফল হিসেবে মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে শুধরাবে। পুলওয়ামায় ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানের শহিদ হওয়া নিয়ে কোনও কথা বলতে না চাইলেও উত্তর-পূর্বের সীমান্তে নজরদারি নিয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারত-মায়ানমার সীমান্তে নজরদারির ক্ষেত্রে কোনও ফাঁকফোকর নেই। সীমান্ত পেরিয়ে যে অপরাধের ঘটনা, তাও পর্যাপ্ত নজরদারির জন্য কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের থেকেও ভয়ঙ্কর এই নাগা জঙ্গিরা। জঙ্গলে লড়াইয়ে ওস্তাদ এই জঙ্গিদের সঙ্গে সবসময়ই যুঝতে হয় এখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাদের। তবে এখন ভারত সরকারের তরফে যেহেতু আলোচনা চলছে, তাই পরিস্থিতি বর্তমানে কিছুটা হলেও আয়ত্বে। তবে তা কতদিন স্থায়ী হবে, সে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন সেনাকর্তারা। কারণ, পড়শি একটি দেশের উস্কানিতে উত্তর-পূর্বে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। আর সেই দেশই চাইছে না, এদেশের প্রশাসন নিশ্চিন্তে থাকে। আলফা গোষ্ঠীও যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে, সেটিও পরিষ্কার করে দিয়েছেন সেনা কমান্ডার। তিনি বলেন, আলফার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এমনকী, পর্যাপ্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের তরফে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি যে সমর্থন পেত, তাতে ঘাটতি হয়েছে। কারণ সেখানে মানুষ শান্তি চাইছেন। আর সেকারণেই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নিজেদের সঙ্কীর্ণ মানসিকতার জন্য রাষ্টবিরোধী প্রচারে এবং কার্যকলাপে সাধারণ মানুষকে তাতাচ্ছে।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী বর্তমানে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনে জোর দিয়েছে। একাধিক সামাজিক কার্যকলাপেও গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই বিষয়টিকে এদিন উল্লেখ করেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান। পাশাপাশি তাঁর কথায়, উত্তর-পূর্বের চীন সীমান্তে সড়ক-সেতু নির্মাণে বিশেষভাবে জোর দিয়েছে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে, চীন সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার সামরিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সীমান্তে স্ট্র্যাটেজিক-সামরিক সম্পর্ক উন্নত করতে দু’দেশই বদ্ধপরিকর।