বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, মাত্র একজন তরুণ এভাবে এতবড় আঘাত করল কীভাবে এবং কেন সামান্যতম আগাম সঙ্কেতও পাওয়া গেল না। এটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। একদিকে যেমন পাকিস্তান ও পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের চরম জবাব দিতে ভারত প্রস্তুত হচ্ছে, তেমনই এই মারাত্মক ঘটনার অভিঘাত যে প্রবল উদ্বেগজনক সেটা নিয়েও তোলপাড় শুরু হয়েছে সরকারের অন্দরে। বিশেষ করে ঠিক পুলওয়ামার এই অংশে এই মাইলস্টোন নম্বর ২৭২ এর আশেপাশে এর আগেও হামলা হয়েছে। ঠিক এই অংশে কিছুটা চড়াই রয়েছে। তাই যে কোনও গাড়িকেই স্পিড কমাতে হয়। সেই সুযোগ নিয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ওই জঙ্গি।
আজ দিল্লির সংসদ ভবনে আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছে কেন সেনা ও আধাসেনা কনভয়ের সঙ্গে ওই রাস্তায় সিভিলিয়ান গাড়িও যেতে দেওয়া হয়েছে? এর উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা বলেছেন, সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের যাতে অসুবিধা না হয় সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, আবার ওই কঠোর নিয়ম ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এদিকে পুলওয়ামার হামলা কেন ঠেকানো গেল না সেই প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তাবাহিনীর অন্দরেও। কারণ দু’দিন আগেই কাশ্মীরের পুলিসের কাছে এসেছিল একটি ভিডিও। থ্রি ওয়ান থ্রি গেট এই নামের একটি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ৩৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও আপলোড করা হয়। সেখানে দেখানো হয়েছে সোমালিয়ায় অবিকল এই একইভাবে একটি সেনা কনভয়ে হামলা হয়েছে। এই একই ধরনের হামলা ভারতে হতে পারে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছিল। পাশাপাশি আইবিও জয়েশ হামলার কথাও বলেছিল। বলা হয়েছিল, আফজল গুরু ও মকবুল ভাটের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ওই হামলা হতে পারে।
পাশাপাশি এই হামলার পিছনে যার মাথা কাজ করছে সেই মাসুদ আজহারের নতুন রিক্রুট বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ রশিদ গাজি ৯ ডিসেম্বর যে ভারতে ঢুকেছে সেটা কিছুদিনের মধ্যেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন। পুলওয়ামার অবন্তীপুরার স্থানীয় ছেলেকে দিয়ে এতবড় একটা হামলা ঘটিয়ে একসঙ্গে এতজন আধা সেনাকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা এবার নতুন প্রবণতা চালু করেছে। শহিদ হচ্ছেন ভারতের জওয়ানরা। আর তাদের হত্যাকারীও কাশ্মীর থেকেই নিযুক্ত। এটাই চরম উদ্বেগজনক প্ল্যান!