গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রেশন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধি সহ কয়েকটি দাবিতেই মূলত এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ডিলারদের সংগঠনের বক্তব্য, কমিশন হিসেবে এখন যে টাকা দেওয়া হয়, তা দিয়ে দোকান চালানোর খরচ ওঠে না। প্রতি কুইন্টালে অন্তত আড়াইশো টাকা কমিশন দাবি করা হয়েছে। ডিলারদের মাসে ৩০ হাজার টাকা রোজগারের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশনের টাকা পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশিরভাগ রাজ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আধাআধি বহন করে। এখন কুইন্টাল পিছু ৭০ টাকা করে মোট কমিশন দেওয়া হয়। ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্র বসালে আরও ১৭ টাকা অতিরিক্ত কমিশন দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক আগেই কমিশন বাড়ানোর আর্থিক দায় রাজ্যগুলির উপর চাপিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রক চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে, কমিশন বাড়াতে হলে রাজ্যগুলি বৃদ্ধি করুক। গোয়া, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরল সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে সরকার কমিশন বাড়িয়ে দিয়েছে। এ রাজ্যে খাদ্য দপ্তর অবশ্য কমিশন বাড়াতে রাজি হয়নি। খাদ্য দপ্তর রেশন দোকানে একটি বড় শপিং মল চেনের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের সামগ্রী বাজারদরের থেকে বেশ কিছুটা কম মূল্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। এই প্রকল্পটি ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চালু হয়েছে। কলকাতা সংলগ্ন আরও কয়েকটি জেলায় তা চালু হতে চলেছে। চলতি বছরের মধ্যে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্পটি চালু করবে খাদ্য দপ্তর। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ রাজ্যের ডিলাররাও কমিশন বাড়ানোর দাবি থেকে সরছেন না। ইলেকট্রনিক যন্ত্র বসানোর ক্ষেত্রে বাড়তি কমিশন এ রাজ্যে ওই যন্ত্র বসানো ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংগঠন সবার জন্য রেশনে খাদ্য সরবরাহ এবং রেশনের খাদ্যের ভর্তুকির টাকা গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এই সমস্যা দু’টি নেই। কারণ এ রাজ্যে রাজ্য সরকারের নিজস্ব খাদ্যসাথী প্রকল্প মিলিয়ে এখন ৯ কোটির কাছাকাছি মানুষকে রেশনে চাল-গম দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির অর্থ প্রদান চালু করতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। কোনও রাজ্যেই এই ব্যবস্থা চালু হয়নি। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার পাইলট প্রকল্প চালু করে সাধারণ মানুষের আপত্তির কারণে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত কয়েকটি এলাকায় এটা চালু করা হয়েছে। তবে যে রাজ্যে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আন্দোলন সর্বত্র হবে বলে সংগঠনের দাবি। ডিলারস ফেডারেশন পয়লা মার্চ থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে লাগাতার ধর্না ও রিলে অনশনও করবে।