পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলওয়ামার থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন উত্তপ্ত হয়ে উঠল জম্মু। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে এদিন ব্যাপক বিক্ষোভ হয় শহরে। জারি করা হয় কার্ফু। কিন্তু কার্ফু উপেক্ষা করেই শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে মিছিল চলার মধ্যেই প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় ছাদের উপর থেকে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বেশ কিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ওঠে পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান। বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামানো হয়। সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে ফ্ল্যাগ মার্চ করে সেনা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জম্মুতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয় বাড়তি বাহিনী।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় শুক্রবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯। গতকালের হামলার পর এদিন উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়গুলির যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়। রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এসে পৌঁছনোর আগে এদিন ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপালের উপদেষ্টা কে বিজয় কুমার। শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে হামলাস্থল লেথপোরায় তাঁর সঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্য পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা। দিল্লিতে সিআরপিএফ হেড কোয়ার্টারের তরফে পুলওয়ামা হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে বলা হয়, জম্মু শহরে এদিন পুরোপুরি বন্ধের চিত্র ছিল। দোকানপাট খোলেনি। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও ছিল কম। তারই মধ্যে হামলার প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও মিছিল থেকে পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান ওঠে। কার্ফু চলার মধ্যেই রাস্তায় নামেন অসংখ্য মানুষ। বিক্ষোভ মিছিলগুলির নেতৃত্ব দেয় বজরং দল, শিবসেনা ও ডোগরা ফ্রন্ট। জম্মুর বণিকসভার তরফে এদিন বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। হামলার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিলও হয়। তবে কিছু জায়গায় প্রতিবাদ মিছিলকে লক্ষ্য করে ছাদের উপর থেকে পাথর ছোঁড়া হয়। তারপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় গাড়ি। রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ চলে। বেশ কিছু গাড়ি উল্টে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর মেলে। পরিস্থিতি সামলাতে সেনাকে খবর দেওয়া হয়। শহরের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে শুরু হয় সেনার ফ্ল্যাগ মার্চ।