বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হরজিন্দরের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর বাবা-মা, ভাই, স্ত্রী ও সাত মাসের ছেলে। তাঁর উপার্জনেই চলত পরিবার। বিয়ের সাত বছর পর বহু প্রার্থনার শেষে বাবা হয়েছিলেন হরজিন্দর। কাঁদতে কাঁদতে সেকথাই জানালেন মা হরভজন কউর। ২০০৩ সালে ১৯ বছর বয়সে সিআরপিএফে যোগ দিয়েছিলেন হরজিন্দর। ৮ মাস আগেই হেড কনস্টেবল পদে প্রোমোশন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভাই জাট্টা সিংকে ফোন করে কাশ্মীরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ক্যাম্পে পৌঁছে ফোন করারও কথা ছিল তাঁর। সেই ফোন আর আসেনি। সুখজিন্দরের স্ত্রী বর্তমানে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। তাঁকে স্বামীর মৃত্যু সংবাদ জানানোর সাহস পাননি কেউ। জাট্টা সিং জানিয়েছেন, ২০ বছর কাজ করে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বিদেশে থিতু হওয়ার স্বপ্ন ছিল হরজিন্দরের।
বাসে ওঠার আগে সকাল সকাল ওড়িশার কটকের বাড়িতে স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন সিআরপিএফের ৬১ নং ব্যাটেলিয়নের জওয়ান মনোজ বেহরাও। এক বছরের মেয়ের খোঁজখবরও নিয়েছিলেন। শ্রীনগরে পৌঁছে ফোন করার কথাও দিয়েছিলেন তিনি। না, কথা রাখতে পারেননি মনোজ। দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। গত বছর নভেম্বরে মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দু’মাসের ছুটিতে রতনপুর গ্রামে এসেছিলেন ৩৩ বছরের এই জওয়ান। জানুয়ারি মাসে ফের কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালেও স্ত্রীকে তাঁর মৃত্যুসংবাদ জানাতে পারেননি শ্যালক দেবাশিস বেহরা। ২০০৬ সালে সিআরপিএফে যোগ দিয়েছিলেন মনোজ। জম্মু ও কাশ্মীরের আগে অযোধ্যায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
মনোজ ছাড়া পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ওড়িশার আরও এক জওয়ান প্রসন্ন কুমার সাহুর। তিনি উপকূলবর্তী জগত্সিংহপুর জেলার বাসিন্দা। রাজ্যের শহিদ দুই জওয়ানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।