কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কাশ্মীরে ১৯৯৯-২০০১ সালে পোস্টিং থাকার সময় আফগানিস্তান, চেচনিয়া থেকে অনেক জঙ্গি গোষ্ঠী কাশ্মীরে আসত। তখন এই ধরনের ব্যাপক ক্ষমতাসম্পন্ন আইইডি তৈরি করত তারা। কিন্তু কার্গিল যুদ্ধের পর ওই গোষ্ঠীগুলি ফিরে যায়। এর পরবর্তীকালে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিসংগঠনগুলি কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের একাংশের সহযোগিতায় আইইডি তৈরি করে, সেগুলির ক্ষমতা কোনওদিনই এত বিরাট ছিল না। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়কের উপরে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা করেই এই হামলা। সীমান্ত দিয়ে যে এতবড় আইইডি এদেশে প্রবেশ করানো সম্ভব নয়, তা বলতে দ্বিধা নেই। তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলছে, পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরেই তৈরি হয়েছে এই বিস্ফোরক। এমনকী, এই বড় আকারের কনভয় যে ওই রাস্তা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে যাবে, সেটাও খোঁজখবর নিয়ে রেখেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী।
দ্বিতীয়ত আমি বলতে পারি, এই ঘটনায় ফের গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টি উঠে আসছে। গোয়েন্দাদের কাছে কেন এই বড় হামলা সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না? কেনই বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আগাম সঠিক বার্তা দিতে পারল না। এত বড় কনভয় যখন যাবে, তখন রাস্তায় কেন আগাম সতর্কতা রাখা ছিল না? নিরাপত্তার খাতিরে কনভয়ের আগে রোড ক্লিয়ারেন্স করতে হয়, রোড ওপেনিং করতে হয়, রোড প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করতে হয়। এটাকেই সার্বিকভাবে বলা হয়, রোড স্যানিটাইজেশন। বিশাল ওই কনভয়ের আগে এগুলি ছিল না বলেই আমার মনে হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কাশ্মীরে শান্তি ফিরছিল। সেই প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এগিয়েছিল প্রশাসন। সেটাই চায়নি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। তারা শান্তি প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে উদ্যত। এদিকে, শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আধা সামারিক বাহিনীর জওয়ানরাও গা-ছাড়া দিয়ে দিয়েছিলেন। কনভয় যাওয়ার আগে রোড স্যানিটাইজেশনের যে ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন ছিল, তার সামান্যও ছিল না। তাহলে হয়তো জওয়ানদের এই ব্যাপক প্রাণহানি আটকানো সম্ভব হত। ৪০ জন বীর জওয়ানকে এভাবে প্রাণ হারাতে হত না। সর্বশেষে, আমি একটা কথাই বলব, কাশ্মীরে এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে, তাতে সেখানকার জন্য আপাতত বিশেষ গণতান্ত্রিক আধিকার প্রত্যাহার করে নিয়ে পর্যাপ্ত অভিযানে যাওয়া উচিত। রাজনীতি বন্ধ করে, এবার ব্যাপক সেনা অভিযান করতে হবে। আর তাহলেই পরিস্থিতি হাতের কব্জায় আনা সম্ভব হবে। এখন মোদি সরকারের বদলার অপেক্ষায় দেশবাসী।