গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
এ ব্যাপারে রাত পর্যন্ত কেউ অবশ্য সরকারিভাবে মুখ খোলেননি। কিন্তু আজ এই ঘটনার খবর দিল্লিতে আসতেই প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। রাতে নর্থব্লকে আবারও বৈঠক বসে। আজ বিকেলের পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় চাপের মুখে সরকারকে পাল্টা কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। কারণ সামরিক বিভাগের চাপ এবং রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা। হামলা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে শুক্রবার বৈঠকে বসছে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি। সেখানে অজিত দোভাল রিপোর্ট করবেন। ডাকা হয়েছে সেনাপ্রধানকেও। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রী। তারপর বৈঠকে বসবে মন্ত্রিসভাও। সেনা গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে জয়েশ জঙ্গিদের ঢুকতে সাহায্য করেছিল পাক সেনাবাহিনী। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলির কাছে জয়েশ প্রধান মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ঘোষণা ও পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছে ভারত। হামলার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেইরেস। অন্যদিকে, ভারত প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করেছে পাকিস্তান প্রশাসনও। তবে, কোনও তদন্ত ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে তোলা নয়াদিল্লির যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছে ইসলামাবাদ।
পাশাপাশি, এভাবে জওয়ানদের শহিদ হওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছে না প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কাশ্মীরে কর্তব্যরত সেনাদের মধ্যেও প্রবল রোষ তৈরি হয়েছে। আজ রাত থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। সাধারণত এরকম একটি বৃহৎ কনভয় যখন যায় তখন নির্দিষ্ট স্ট্যাণ্ডার্ড অপারেটিভ প্রসিডিওর থাকে। এত বড় মাপের আক্রমণ করার জন্য জঙ্গিদের যে হোমওয়ার্ক দরকার হয়েছে তার প্রস্তুতির সামান্য খবরই বা ইনটেলিজেন্স মারফৎ কেন পাওয়া গেল না? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।