গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
নিয়ম হচ্ছে, যখন কোনও রাস্তায় সিআরপিএফের বড় কনভয় যায়, তার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিযুক্ত রোড ওপেনিং পার্টি (আরওপি) আগে সবুজ সংকেত দেয়। তারপরই কনভয়ের গাড়ির রওনা দেয়। এই আরওপি’র মধ্যে সেনাবাহিনী, জম্মু কাশ্মীর পুলিস এবং আধাসেনার জওয়ানরাও থাকেন। কনভয়ের যাত্রাপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই আরওপি’র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও, এদিন আরওপি’র তরফেই গাফিলতি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার বরফ সরিয়ে জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়ক নতুন করে খোলা হয়। জানা গিয়েছে, অবন্তীপোরা ওই এলাকায় রোজ নিরাপত্তা রক্ষীরা পাহারায় থাকেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাদের সকলের নজর জঙ্গিদের উপর কেন পড়ল না, এখানেই প্রশ্ন। জয়েশ-ই-মহম্মদের এক আত্মঘাতী জঙ্গি সাড়ে তিনশো কেজি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে জাতীয় সড়কে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। কিন্তু, তার দিকে কারও নজর পড়েনি। শুধু তাই নয়, জওয়ানদের কনভয়ের গাড়ি পরপর একই গতিতে যাওয়ার নিয়ম। কিন্তু সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার শিকার সিআরপিএফের বাসটির সঙ্গে অন্য গাড়ির দূরত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের পর জখম জওয়ানদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। তারা অন্য গাড়িগুলিকেও টার্গেট করেছিল। সেগুলি কিছুটা দূরে থাকায় অন্য জওয়ানরা প্রাণে রক্ষা পান।
হামলার দায় নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যে শুক্রবার শ্রীনগর যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার পাটনায় রাজনৈতিক সভা করার কথা ছিল রাজনাথের। সব কর্মসূচি বাতিল করে তিনি কাশ্মীর যাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর উপত্যকায় নজর বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে।