কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিশ জানিয়েছে, সিআরপিএফ-এর বাসে ধাক্কা মারা স্করপিও গাড়িটিতে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ছিল। ভয়াবহ এই হামলার পরপরই আদিলের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। ২০১৬ সালে উরির ঘটনার পর এতবড় জঙ্গি হামলা আর হয়নি উপত্যকায়। একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, হাতে রাইফেল নিয়ে জয়েশ-ই-মহম্মদের ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আদিল। এদিনের হামলার ভয়াবহতায় স্তম্ভিত গোয়েন্দারাও। কারণ উপত্যকায় জয়েশের প্রায় সব শীর্ষ নেতাই এই কয়েক বছরে মারা পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছিল। গত বছরও বড় সাফল্য পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। উপত্যকায় বিভিন্ন স্নাইপার হামলার মাথা মহম্মদ উসমান মারা পড়েছিল। এই উসমান ছিল জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাইপো। ২০১৭ সালে বারামুলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে খতম হয়েছিল জয়েশের অপারেশনাল চিফ খালিদ।
স্থানীয় পুলিস সূত্রের দাবি, আদিল আহমেদ দার পুলওয়ামার গুন্ডিবাগের বাসিন্দা। তৌফিক ও ওয়াসিম নামে দুই বন্ধুর সঙ্গে সে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ নিখোঁজ হয়ে যায়। তৌফিকের দাদা মঞ্জুর আহমেদ দার জঙ্গি ছিল। ২০১৬ সালে সে মারা পড়ে। স্কুলছুট আদিল রাজমিস্ত্রির কাজ করত। একটি ভিডিও টেপে উত্তর কাশ্মীরের প্রতি বার্তা দিয়েছিল সে। ওই ভিডিওয় আদিলকে বলতে শোনা যায়, ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে দক্ষিণ কাশ্মীরের মানুষ। এবার এই লড়াইয়ে উত্তর ও মধ্য কাশ্মীর এবং জম্মুরও যোগ দেওয়ার সময় এসেছে। আমাদের কয়েকজন কমান্ডো মারা পড়ায় ভাবলে চলবে না আমরা দুর্বল হয়ে গিয়েছি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যাচ্ছে, অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল সহ জয়েশের পতাকার সামনে বসে বার্তা দিচ্ছে আদিল। শুরুতেই এই জঙ্গির বক্তব্য, যখন ভিডিওটি আপনাদের কাছে পৌঁছবে, ততক্ষণে আমি হয়তো জন্নতে চলে গিয়েছি। আমি এক বছর জয়েশের সঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছি। কাশ্মীরের মানুষের প্রতি এটাই আমার শেষ বার্তা।