পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একদিকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেত্রী রাবড়ি দেবী যেমন ‘নেতাজি’র বয়স তুলে কটাক্ষ করেন, অন্যদিকে তেমনই শ্বশুরের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন সওয়াল করেছেন ছোট পুত্রবধূ অপর্ণা যাদব। মোদি প্রসঙ্গে মুলায়মের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী বলেন, ‘ওঁর বয়স হয়ে গিয়েছে। কখন, কোথায়, কী বলতে হবে খেয়াল থাকে না। ওঁর মন্তব্যের কোনও যৌক্তিকতা নেই।’ যদিও, মুলায়মের পুত্রবধূ অপর্ণা অবশ্য সপা সুপ্রিমোর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘ওঁর মন্তব্যের পিছনে নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে। তবে, উনি বরাবরই সরকার হোক বা বিরোধী, সবাইকেই শুভকামনা জানিয়ে থাকেন। বড়রা সবসময়ই আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে আপনি নির্বাচনে জিতে গিয়েছেন। এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।’ মুলায়মেরই প্রাক্তন সতীর্থ তথা রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং এ প্রসঙ্গে দাবি করেন, বিভ্রান্তি ছড়াতেই লোকসভায় ওই মন্তব্য করেছেন মুলায়ম। সপা’র আর এক শীর্ষনেতা আজম খান বলেন, ‘এটা শুনে খুব দুঃখ পেয়েছি। এই বয়ান ওঁর মুখে বসানো হয়েছে। এটা মুলায়মজির কথা নয়। নেতাজিকে দিয়ে কথাগুলো বলিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, ‘আমি ওঁর সঙ্গে একমত নই।’ জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ট্যুইট করে মাত্র দু’টি শব্দ লেখেন, ‘বেচারা অখিলেশ’। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, সংসদে বাবার দেওয়া বক্তব্যকেই সমর্থন করা উচিত অখিলেশের। তিনি বলেন, ‘এটাই সত্যি। সবসময় সত্যেরই জয় হয়। সংসদে মুলায়মজি যা বলেছেন, তা সত্যি। আমার মনে হয়, মুলায়মজির মতো তাঁর পুত্রও এই সত্যটা স্বীকার করে নেবেন।’
গত বুধবার লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুলায়ম বলেন, ‘আমার ইচ্ছে, মোদিই আবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসুন। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখনই ওঁর কাছে কোনও কাজ নিয়ে গিয়েছি, তখনই সেটা করে দিয়েছেন।’ সপা সুপ্রিমোর এই মোদি-প্রশস্তির পর বৃহস্পতিবার লখনউ জুড়ে মুলায়মকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়। লেখা হয়, ‘ধন্যবাদ মুলায়ম সিং যাদব। আপনি ১২৫ কোটি ভারতবাসীর ইচ্ছাকেই লোকসভায় ব্যক্ত করেছেন।’