রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিভিন্ন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমিয়ে এমনিতেই মধ্যবিত্ত মানুষের অসন্তোষের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইভাবে গত কয়েক বছরে লাগাতার কমানো হয়েছে ইপিএফে সুদের হারও। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে যে সুদের হার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, গত পাঁচ বছরের মধ্যে তা ছিল সবথেকে কম। ২০১৩-১৪ সালে ইপিএফে ৮.৭৫ শতাংশ হারে সুদ পেতেন গ্রাহকেরা। ২০১৪-১৫ সালেও সেই অপরিবর্তিত রাখা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার আগের বছরের থেকে কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়। ৮.৮ শতাংশ। ২০১৬-১৭ সালে তা ফের কমিয়ে করা হয় ৮.৬৫ শতাংশ। এবং ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ইপিএফে সুদের হার গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবথেকে কমিয়ে করা হয় ৮.৫৫ শতাংশ। সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৮-১৯ সালে এই হার আর কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে এক্ষেত্রে উপকৃত হতে চলেছেন সারা দেশের প্রায় ছ’কোটি ইপিএফ গ্রাহক। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের একটি সূত্র বলছে, কিছু ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের ঘাড়ে অতিরিক্ত কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক বোঝা চাপবে। যার জেরে সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না ইপিএফও।
এমনিতে কমপক্ষে ২০ জন কর্মী রয়েছেন, দেশের এমন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানগুলি ইপিএফওর আওতায় থাকে। ওই কর্মচারীদের মধ্যে যাঁদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার অধীনে চলে আসেন। ইপিএফ খাতে প্রদেয় অর্থের (কন্ট্রিবিউশন) একটি অংশ যায় কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে, অন্যটি গ্রাহকের পেনশন খাতে। এই মুহূর্তে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা। সারা দেশে মোট ইপিএফ পেনশনপ্রাপক রয়েছেন প্রায় ৬২ লক্ষ। যার মধ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ গ্রাহকই মাসে দেড় হাজার টাকার কম পেনশন পান। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বৃদ্ধির সুপারিশ করে রিপোর্ট পেশ করেছে। ফলে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ইপিএফওর অছি পরিষদের বৈঠকে পেনশন বৃদ্ধির ইস্যুটিও উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাসিক সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করা দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা এবার থেকে মাসে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন শর্তসাপেক্ষে। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের সমস্ত শাখা অফিস, ইপিএফও/ইএসআইসি অফিস এবং শ্রম দপ্তরগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।