কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর অভিযোগ, সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলিকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে তিনি প্রকল্পগুলিকে ছাড়পত্র দিচ্ছেন না। সরকারের ঠিক কতগুলি প্রস্তাবিত প্রকল্প আটকে রয়েছে? নারায়ণস্বামীর দাবি, বিনামূল্যে চাল দেওয়ার প্রকল্প সহ মোট ৩৯টি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প ও অনুদানের ছাড়পত্র লেফটেন্যান্ট গভর্নর আটকে রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে ডিএমকে শিবিরও। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে র্যা পিড অ্যাকশন ফোর্সের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। রাজ নিবাস সূত্রে খবর, ২০ ফেব্রুয়ারি পুদুচেরি ফিরবেন কিরণ। পরদিন, ২১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি।
বেদির এই চুপিসাড়ে পুদুচেরি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে তোপ দেগেছেন পূর্তমন্ত্রী এ নমশিবায়ম। তিনি বলেন, ‘বুধবার থেকে ৩৯ দফা দাবিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সম্মতি আদায়ের জন্য রাজ্যের জনপ্রতিনিধিরা আন্দোলন করছেন। এই পরিস্থিতিতে বেদির দিল্লি উড়ে যাওয়াটা আমার হাস্যকর মনে হয়েছে। জনতার নির্বাচিত সরকারকে যে উনি সম্মান করেন না, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।’
লেফটেন্যান্ট গভর্নর আলোচনার আশ্বাস দিলেও নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। যতদিন না সরকারের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলিকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হচ্ছে, ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে সাফ জানিয়েছেন নারায়ণস্বামী। তাঁর কথায়, ‘যদি একসঙ্গে ৩৯টি প্রকল্পের ছাড়পত্র দিতে সমস্যা হয়, তাহলে বিনামূল্যে চাল সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রকল্পে আপাতত সম্মতি দিতেই পারেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।’
বেদির সঙ্গে নারায়ণস্বামীর এই দ্বন্দ্ব চলছে ২০১৬ সাল থেকে। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি সংসদের সামনেও আন্দোলন করেছিলেন নারায়ণস্বামী। সেবার তিনি পুদুচেরিকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে কিরণ বেদিকে সরানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন।