ধরমপুর (গুজরাত), ১৪ ফেব্রুয়ারি: মহিলা ভক্তের নিরিখে রাজনীতিকদের মধ্যে এক নম্বরে তিনি। দেশের ‘মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলার’ নামেও ডাকা হয় তাঁকে। তিনি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলকে নিয়ে মহিলা মহলে উন্মাদনা ঠিক কতটা, বৃহস্পতিবার প্রেম দিবসে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। কংগ্রেস সভাপতির কাছাকাছি পৌঁছতে পেরে এক মহিলা তাঁর গালে চুম্বন করে বসলেন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষেই কি কংগ্রেস সভাপতিকে চুমু খেলেন? মধ্য পঞ্চাশের কাশ্মীরাবেন নামে ওই মহিলার বক্তব্য, তেমন কোনও বিষয় নেই। রাহুল তাঁর ভাইয়ের মতো। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তিনি কাজটা করে ফেলেছেন। কিছুটা ক্ষোভের সুরেই তিনি বলেন, ‘আমি সুরাতে দলের সক্রিয় কর্মী। সেই সঙ্গে আমি একজন পার্সি ধর্মাবলম্বি। কংগ্রেসের সঙ্গে গত ৪৮ বছর ধরে আছি। আমি রাহুল গান্ধীর শুভাকাঙ্খী। উনি আমার ভাইয়ের মতো।’ রাহুলই কী দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন? এক মুহূর্তও না ভেবে কাশ্মীরাবেনের উত্তর, ‘ওঁর মধ্যে তারুণ্য রয়েছে। আমরা সবাই ওঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যগুলি সৎ। সেই সঙ্গে তিনি নিজের প্রতিশ্রুতিগুলি পালনও করেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভোটের পর উনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
এদিন গুজরাতের ভালসাদ জেলায় নির্বাচনী র্যা লিতে অংশ নিতে পৌঁছন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল মঞ্চে উঠতেই দলের কয়েকজন মহিলা কর্মী-সমর্থক তাঁকে ফুল-মালা দিয়ে স্বাগত জানাতে আসেন। ঠিক করা হয়, সকলেই একে-একে রাহুলকে মালা পরাবেন। প্রথমেই পালা ছিল কাশ্মীরাবেনের। ঘটনাটির ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই মহিলা কাছে আসতেই রাহুল মাথা নামিয়ে মালা পরতে যান। প্রথমে মনে হয়েছিল, তিনি হয়তো কংগ্রেস সভাপতিকে কানে-কানে কিছু বলতে চাইছেন। কিন্তু, সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওই মহিলা সরাসরি রাহুলের গালে চুমু খেয়ে বসেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যান উপস্থিত কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। রাহুল অবশ্য আগাগোড়াই সহজ-স্বাভাবিক ছিলেন। এতটুকু বিব্রত হতে দেখা যায়নি তাঁকে। এই ঘটনার পরে মহিলা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সেল্ফি তুলতেও দেখা যায় রাহুলকে।