গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
আসলে তামিলনাড়ুতে জোট করাটা এখন বিজেপি এবং এডিএমকের কাছে প্রায় বাধ্যবাধকতার জায়গায় পৌঁছেছে। জয়ললিতার মৃত্যুর পর শক্তি হারিয়েছে এডিএমকে। বস্তুত, একাধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত দল। কেন্দ্রের শাসক দলের সহযোগিতা নিয়ে আবার সংঘবদ্ধ হওয়ার পথ খুঁজছে তারা। আর তামিলনাড়ুর দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিজেপিও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লোকসভায় গোবলয় থেকে আগের মতো আসন পাবে না বিজেপি। তাই লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে গেলে দ্রাবিড় ভূমিতে বিজেপিকে আরও আসন পেতে হবে। ৩৯ আসনের মধ্যে এখন ৩৭টিই এডিএমকের দখলে। এডিএমকের সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে লাভের গুড় ঘরে তুলতে চান অমিত শাহরা। তাই দুয়ে দুয়ে চার হতে সময় লাগবে না।
তবে বিজেপি-এডিএমকে জোটের সবচেয়ে বড় অন্তরায় অতীত। জয়ললিতা বেঁচে থাকতে বিজেপির সঙ্গে কখনও জোট করেননি। ২০১৪ সালে জয়ললিতার সঙ্গে জোট নিয়ে কথা শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে মাঝপথে সেই কথা বন্ধ হয়ে যায়। এমডিএমকে, পিএমকে এবং ডিএমডিকের সঙ্গে জোট গড়ে দু’টি আসন বার করতে সমর্থ হয় বিজেপি। সেই অতীতের কথা মনে করিয়ে এডিএমকে মুখপাত্র সি পুনাইয়ান সম্প্রতি বলেছেন, দলের নিচুতলার কর্মীরা জোট চাইছেন না। কর্ণাটকের সঙ্গে কাবেরী নদীর জল বণ্টন বিবাদে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় তাঁরা ক্ষুব্ধ। আর রাজ্যের জন্য বিশেষ কিছুই করেননি প্রধানমন্ত্রী। গতমাসেই এই মন্তব্য করেছিলেন পুনাইয়ান। কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেটের সমালোচনা করে দলের নেতা এম থাম্বিদুরাই বলেছিলেন, এরা যদি সত্যিই গরিব দরদী হত, তবে আগের বাজেটেই এই ঘোষণা করতে পারত। এখন এই ঘোষণা ভোটকে সামনে রেখেই।
তাহলে কি ‘হৃদয়ের পরিবর্তন হয়েছে’? চেন্নাইয়ের অন্দরে কান পাতলে আরও একটি সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং পুলিস প্রধানের বাড়িতে সম্প্রতি হানা দিয়েছে আয়কর এবং সিবিআই। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করতে চলেছে এডিএমকে। এই নিয়ে এডিএমকে নেতা ডি জয়কুমার বলেছেন, ‘রাজনীতিতে সবকিছুই সম্ভব।’