গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি: ষষ্ঠদশ লোকসভার সর্বশেষ অধিবেশনের সমাপ্তি আগামীকাল। এই লোকসভার মেয়াদ আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সমাপ্ত হবে। তবে বাজেট অধিবেশনই হতে চলেছে শেষ অধিবেশন। এরপর পুনরায় লোকসভার অধিবেশন বসবে নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর। সুতরাং আপাতত লোকসভায় বিদায়ের সুর। বহু এমপিকেই আগামীদিনে হয়তো আর দেখা যাবে না। বহু এমপি হয়তো আবার ফিরে আসবেন জয়ী হয়ে। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পর এবার অবসর নেবেন। সেই তালিকায় সবথেকে উল্লেখযোগ্য নাম হতে চলেছে লালকৃষ্ণ আদবানি। ১৯৭০ সালে রাজ্যসভায় প্রবেশের মাধ্যমে আদবানির সংসদীয় রাজনৈতিক জীবনে পা রাখা। সংসদীয় জীবনে তাঁর থেকে একবছর সিনিয়র প্রণব মুখোপাধ্যায়। কারণ প্রণববাবু রাজ্যসভায় প্রবেশ করেছিলেন ১৯৬৯ সালে। ১৯৮৪ সালে লোকসভায় মাত্র দু’জন এমপির পার্টি থেকে হিন্দুত্ব রাজনীতির প্রধান মুখ হিসাবে বিজেপিকে তুলে আনেন আদবানি প্রায় একক ক্যারিশমায়। তাঁর সঙ্গী ছিলেন নরম হিন্দুত্বের মুখ অটলবিহারী বাজপেয়ি। তারপর থেকে আদবানির ছিল শুধুই উত্থানের জার্নি। উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বাজপেয়ি মন্ত্রিসভায়। মূলত তাঁর অযোধ্যা রথযাত্রাই ভারতীয় রাজনীতির দিকবদল ঘটিয়েছিল বলা যেতে পারে। ১৯৯২ সালের পর থেকে ভারতীয় রাজনীতি যে সম্পূর্ণ অন্যদিকে পথ চলতে শুরু করেছিল তার একক কৃতিত্ব আদবানির। সেই আদবানি লাগাতার ১৯৯৮ সাল থেকে গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে জয়ী হয়ে আসছেন লোকসভায়। এবং কোনও সংশয় নেই এই ছিল তাঁর শেষ লোকসভার সদস্যপদ। আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন না। সুতরাং এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আগামীদিনে আর দেখা যাবে না লোকসভায়। আগামীকালই হতে চলেছে লোকসভায় এমপি হিসেবে আদবানির সর্বশেষ পা রাখা। ২০১৪ সালে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে আসা নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এবং এনডিএ ছিল ষষ্ঠদশ লোকসভায় সবথেকে উজ্জ্বল ও গরিষ্ঠ। এই লোকসভায় সম্পূর্ণ শূন্য উপস্থিতি ছিল মায়াবতীর দলের। একজনও জয়ী হয়নি তাঁর দলের। এবার সেই চিত্র কি বদলাবে? আসন্ন লোকসভা ভোট সেই জবাব দেবে। বিজেপি কি এই বিপুল শক্তি নিয়ে আসতে পারবে? সেই জবাবও পাওয়া যাবে। তবে এসবের পাশাপাশি একটি প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে উত্থাপিত হচ্ছে। রায়বেরিলি লোকসভা আসন এবার কাকে পাঠাবে লোকসভায়? অসুস্থ সোনিয়া গান্ধীই কি আবার এমপি হয়ে ফিরবেন? নাকি রায়বেরিলি এবং লোকসভা উভয়েই পেতে চলেছে নতুন এক গান্ধী নেহরু পরিবারের সদস্যকে? প্রিয়াঙ্কা গান্ধী!
