গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
সোমবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া ঘোষণা করা হয়েছিল। তা থেকে খানিকটা কমিয়ে আজ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীভাড়া চূড়ান্ত করেছে রেলমন্ত্রক। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীভাড়ার তালিকা অনুসারে এর এগজিকিউটিভ ক্লাসের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির হার প্রায় ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে এসি চেয়ার কারের ক্ষেত্রে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির হার প্রায় ৪০ শতাংশ। সাধারণত রেলের তথাকথিত আম-যাত্রীদের একটি বড় অংশ চেয়ার কারে যেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারণ টিকিটের মূল্য। এক্ষেত্রে যাত্রীভাড়ার সবথেকে বেশি বৃদ্ধি হচ্ছে চেয়ার কারেই। ফলে সাধারণ যাত্রীরা এত বেশি ভাড়া দিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাতায়াত করতে আদৌ উৎসাহী হবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীভাড়ার তালিকা ঠিক কী? রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, নয়াদিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত এসি চেয়ার কারে ট্রেন-১৮ এর বেস ফেয়ার নির্ধারিত হয়েছে যাত্রীপিছু ১ হাজার ২৪০ টাকা। কেটারিং চার্জ এবং পাঁচ শতাংশ জিএসটি মিলিয়ে এর পরিমাণ যাত্রীপিছু ১ হাজার ৭৬০ টাকা। অথচ এই দূরত্বে এসি চেয়ার কারে শতাব্দী এক্সপ্রেসের বেস ফেয়ারের পরিমাণ যাত্রীপিছু ৮৮৬ টাকা। আবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এগজিকিউটিভ ক্লাসের বেস ফেয়ার (নয়াদিল্লি-বারাণসী) যাত্রীপিছু ২ হাজার ৬১৭ টাকা। কেটারিং চার্জ এবং পাঁচ শতাংশ জিএসটি মিলিয়ে যাত্রীভাড়ার মোট পরিমাণ মাথাপিছু তিন হাজার ৩১০ টাকা। অথচ এই দূরত্বে এগজিকিউটিভ ক্লাসে শতাব্দীর বেস ফেয়ারের পরিমাণ যাত্রীপিছু ২ হাজার ১৩ টাকা।
ফিরতি পথে, অর্থাৎ বারাণসী থেকে নয়াদিল্লি আসতে ট্রেন ১৮ এর দুটো ক্লাসেই বেস ফেয়ারের কোনওরকম পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে কেটারিং চার্জ কিছুটা কমে যাওয়ায় ফিরতি পথে যাত্রীপিছু মোট ভাড়ার পরিমাণ খানিকটা কমবে। এসি চেয়ার কারে হবে মাথাপিছু এক হাজার ৭০০ টাকা এবং এগজিকিউটিভ ক্লাসে হবে যাত্রীপিছু তিন হাজার ২৬০ টাকা। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, টিকিট কাটায় এই ট্রেনে কোনওরকম কনসেশন এবং চাইল্ড ফেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে না। তৎকালের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্লাসের মোট আসনের পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত সংরক্ষণের তালিকায় রাখা যাবে। তবে বিশেষ কারণে চাহিদা বাড়লে তা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ট্রেনের উদ্বোধন হলেও সাধারণ যাত্রীরা এতে চড়ার সুযোগ পাবেন ১৭ তারিখের পর। টিকিট কাটা যাবে আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট এবং রেলের প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সেন্টার (পিআরএস) থেকে। নয়াদিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত যাতায়াত করবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন-১৮। মাঝে তা কানপুর এবং এলাহাবাদে থামবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে এই ট্রেনের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রেল সূত্রের খবর, প্রথম যাত্রায় এই ট্রেনে চেপেই নয়াদিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত যাওয়ার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের।