গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বাংলায় মমতার সঙ্গেই বামেদের দীর্ঘ দিন ধরে মূল রাজনৈতিক লড়াই হওয়ায় ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা কোনও সময়ে মাথাতেই রাখেনি তারা। শুরু থেকেই জোড়াফুলের ওই মঞ্চ এড়িয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে গোটা বাম শিবিরই। এমনকী, মমতার মোদিবিরোধী সমাবেশের সাফল্য কামনা করে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেসের শীর্ষ দুই কর্ণধার সরাসরি বার্তা পাঠিয়ে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ব্রিগেডে পাঠিয়ে এরাজ্যে বাম শিবিরে যথেষ্ট অস্বস্তির উপাদান জোটালেও, নেতৃত্ব কিন্তু সেদিন ব্রিগেড না যাওয়ার পুরনো সিদ্ধান্তেই অটল থাকে।
সিপিএম-সিপিআই সূত্রের খবর, একইভাবে অন্ধ্রের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সোমবার দিল্লিতে আয়োজিত চন্দ্রবাবুর মোদিবিরোধী ধর্না-সমাবেশে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও সেই রাজ্য রাজনীতির বাধ্যবাধকতাই কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। এমনিতে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে ইয়েচুরি বা ডি রাজার মতো বাম শীর্ষ নেতাদের সম্পর্ক ভালোই। গত বিধানসভার নির্বাচনে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস ও চন্দ্রবাবুর দল তেলেগু দেশমের জোটসঙ্গী পর্যন্ত ছিল সিপিআই। কিন্তু এবার অন্ধ্রে লোকসভার ভোটে চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে একটি তৃতীয় জোট গঠন করে লড়তে চলেছে দুই মার্কসবাদী দল। এই জোটে চিরঞ্জীবীর ভাই তথা তেলেগু চলচ্চিত্র শিল্পী পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টিও শামিল হয়েছে। সেই কারণে সিপিএম-সিপিআইয়ের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে চন্দ্রবাবুর ধর্না মঞ্চে ইয়েচুরি-রাজাদের হাজিরা নিয়ে আপত্তি ওঠে। দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সেই বার্তাও দেওয়া হয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও দলের সিদ্ধান্ত মেনে শেষমেশ রাহুল গান্ধী সহ তামাম বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সোমবার মঞ্চ ভাগাভাগির রাস্তায় হাঁটতে পারেননি ইয়েচুরিরা।
এই অবস্থায় আজ, কেজরিওয়ালের কর্মসূচি ফের একবার বিজেপি বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। আপের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা মিটিয়ে শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীরাও হয়তো এই মঞ্চে আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচির অন্যতম এবং প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন। জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব বৃদ্ধির ছবি হিসেবেও এই কর্মসূচি ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অনেক পর্যবেক্ষকের অভিমত। এই অবস্থায় কেজরিওয়ালের ফোন পেলেও আবার সেই বঙ্গ রাজনীতির প্রশ্নে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে এক মঞ্চে বসা বা এক সারিতে হাত ধরাধরি করে ছবির পোজ দেওয়ার ঝুঁকি তাঁরা নেবেন কি না, সেটা মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিক করে উঠতে পারেননি ইয়েচুরিরা। ডি রাজা এদিন বলেন, আমরা দুই দল এনিয়ে রাতে আরও আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।