গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
এটি ছিল ওই সংস্থা আয়োজিত ৩০০ কোটিতম খাবার পরিবেশনের অনুষ্ঠান। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রথম থালাটিতে খাবার পরিবেশন করেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি। তাদেরই ৩০০ কোটিতম খাবার পরিবেশনের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশনের আগে হওয়া সভায় সেকথা জানান মোদি। সভায় নির্বাচিত কিছু স্কুলপড়ুয়াকে ড্রাই ফ্রুটের বাক্স তুলে দেন তিনি। সভা শেষে তাঁর সঙ্গেই খাবার পরিবেশন করেন উত্তরপ্রদেশের গভর্নর রাম নায়েক ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। খাদ্যতালিকায় ছিল রুটি, পনিরের সবজি, ছোলে, পোলাও, পকোড়া, স্প্রাউটস স্যালাড ও গাজরের হালুয়া। পড়ুয়ারা খেতে বসলে তাদের কাছে গিয়ে গল্পে মেতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। গল্প করতে করতে কাউকে কাউকে নিজের হাতে খাইয়েও দেন তিনি।
রাম তাল থেকে এই অনুষ্ঠানে এসেছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রুবেশ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পেরে আপ্লুত সে। সংবাদসংস্থাকে সে জানিয়েছে, ‘মোদিজি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি ভালোভাবে খাচ্ছি কি না, রোজ খেলাধুলো করি কি না? এছাড়াও, শিক্ষকরা স্কুলে আমাদের ঠিকমতো খাওয়াচ্ছেন কি না তা জানতে চান তিনি।’ উল্লেখ্য, এই অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সাহায্য করে ইস্কন। সরকারি মিড-ডে মিল প্রকল্পে কাজ করে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। ১২টি রাজ্যের ১৪ হাজার ৭০২টি স্কুলে মিড-ডে মিল সরবরাহ করে তারা। বৃন্দাবনেই বেঙ্গালুরুর এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বড় একটি রান্নাঘর রয়েছে। সোমবার তার কাছেই দুঃস্থ শিশুদের এই খাবার পরিবেশন করেন প্রধানমন্ত্রী। মাত্র দেড় হাজার দুঃস্থ শিশুকে খাওয়ানো দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল সংস্থাটি। বর্তমানে তাঁরা ১৭ লক্ষেরও বেশি দুঃস্থ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেন বলে জানা গিয়েছে।