গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
দিল্লির দমকল সূত্রে খবর, ভোর চারটে ৩৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ২৪টি ইঞ্জিন। দিল্লির সরকার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, হোটেলটির ‘ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট’ ছিল না কিনা, তা দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মৃতের নিকটাত্মীয়দের পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার আপ সরকারের চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিশোদিয়া। তালকাটোরা স্টেডিয়ামে এদিন বিশাল দাদলানির সঙ্গীত পরিবেশনের কথা ছিল। দিল্লির ডিসিপি মধুর ভার্মা জানিয়েছেন, হোটেলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ৪৩ বছরের এক মহিলার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি জানান, ১৩টি দেহ রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে, দু’টি দেহ লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতাল এবং একটি দেহ বিএলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৩টির মধ্যে পাঁচটি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এর মধ্যে তিনজন কেরলের বাসিন্দা এবং দু’জন মায়ানমারের নাগরিক। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই হোটেলটিতে আগুন লাগে। দমবন্ধের কারণেই অধিকাংশ অতিথির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে কেজরিওয়াল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ট্যুইট করেছেন, ‘দিল্লির করোলবাগের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে জে আলফোন্স জানিয়েছেন, হোটেলের আপৎকালীন বেরনোর দরজাটিতে তালা দেওয়া ছিল। তাই, আগুন লাগার পর হোটেলের অতিথিরা বেরতে পারেননি। যদিও সেই পথটি অত্যন্ত সংকীর্ণ ছিল। তাছাড়া হোটেলের ঘরগুলিতে কাঠের ফ্রেম থাকায় আগুন দ্রুত গোটা হোটেলে ছড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি দিল্লির মেয়রের সঙ্গে কথা বলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।