গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অতীতে অপরিশোধিত তেলের দামের ওঠানামা ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশগুলির অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলত। গত বছর অক্টোবরেও পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। বিদ্যুত্ উত্পাদনের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার না করায় সেখানেও কয়লা ও তেলের উপরই নির্ভর করা হয়। অথচ প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবেশবান্ধব। তেল ও গ্যাসের ব্যবহারে ভারসাম্য না থাকায় আমদানি করা তেলের উপর নির্ভরশীল দেশগুলির অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছে সেই কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের জ্বালানির দাম নির্ধারণে দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। যা উত্পাদক ও উপভোক্তা দুপক্ষেরই স্বার্থরক্ষা করবে। শুধু তাই নয়, তেল-গ্যাসের জন্য আমাদের স্বচ্ছ ও নমনীয় বাজার তৈরি করার কথাও ভাবতে হবে। তাহলেই মানুষের প্রয়োজনে জ্বালানি ব্যবহার করা যাবে।’ তাঁর মতে, নাগরিকদের কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করা সমস্ত দেশের কাছেই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। যে কোনও দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত দরকারি।
জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে বলে এদিন মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্র মোদি। শেল বিপ্লবের পর আমেরিকা যেভাবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও গ্যাস উত্পাদক দেশ হয়ে উঠেছে, নিজের ভাষণে সেই প্রসঙ্গও ছুঁয়ে গিয়েছেন তিনি। মোদি আরও বলেন, ‘তবে বর্তমানে সৌরশক্তি ও অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি তাদের কড়া প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিয়েছে।’ এদিন নিজের সরকারের কৃতিত্বের কথা জাহির করতে গিয়ে সমস্ত গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বছরের মধ্যেই ১০০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, উজ্জ্বলা প্রকল্পে এলইডি বাল্ব বিলির ফলে বার্ষিক ১৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। বিনা পয়সায় এলপিজি সংযোগ দেওয়ায় এখন প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িতে রান্নার গ্যাস রয়েছে। বায়োফুয়েল ব্যবহার বাড়ানো সহ গত ৫ বছরে তেল ও গ্যাস সেক্টরে একাধিক সংস্কার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোদি।