বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই জয়পুর ও আগ্রার মধ্যে সংযোগকারী ১১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় গুজ্জররা। পাশাপাশি অন্যান্য সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাড়ি চালকদের বিকল্প রাস্তা বেছে নেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিস। রাজ্য পুলিসের ডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) এম এল লাথুর বলেন, সোমবার সকাল থেকে দৌসা জেলায় ১১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ধর্না শুরু হয়। এছাড়াও বান্দি, সোয়াই মাধোপুরের মালার্না এবং কারাউলি-হিন্দোয়ানের মতো রাজ্য সড়কগুলিতে অবরোধের জেরে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। রবিবার আগ্রা-মোরেনা জাতীয় সড়ক অবরোধ এবং শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বিক্ষোভকারীরা। ঢোলপুরে জাতীয় সড়কের উপর পুলিসের তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তবে এদিন রাজ্যে বড় কোনও সংঘর্ষের খবর মেলেনি।
গত চারদিনে গুজ্জরদের আন্দোলনের জেরে ২৫০টি ট্রেন বাতিল করেছে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য রেলওয়ে। এদিনও হজরত নিজামউদ্দিন-উদয়পুর, অমৃতসর-মুম্বই, ফিরোজপুর-মুম্বই, দেরাদুন-কোচিভালির মধ্যে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটির যাত্রাপথ ঘোরানো হয়েছে। আবার কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ ছোট করা হয়েছে। সরকারি চাকরি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে গুজ্জররা। গুজ্জর নেতা কিরোরি সিং বৈঁসলার কথায়, গুজ্জর, রাইকা-রেবারি, গাদিয়া লুহর, বানজারার মতো সম্প্রদায়গুলির জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষের ব্যবস্থা করুক সরকার। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বৈঁসলার ছেলে বিজয় সিং বলেন, তাঁদের একটাই দাবি পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রেললাইন অবরোধ করে ধর্না চলবে। এদিকে শনিবার রাজস্থানের পর্যটন মন্ত্রী বিশ্ববেন্দ্র সিং এবং আইএএস অফিসার নীরাজ কুমার পবনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গুজ্জর নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু সংরক্ষণ নিয়ে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন তাঁরা।