বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সোমবার বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হতেই প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। এত বড় একটি ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। অবশ্য তাঁর আশ্বাসে বিরোধীদের টলানো যায়নি। বিরোধী দলের বিধায়করা লাগাতার স্লোগান তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিন। স্পিকার হৃদয়নারায়ণ দীক্ষিত পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ৩০ মিনিটের জন্য বিধানসভার কাজ মুলতুবি করে দেন।
পরে ফের সভা শুরু হলেও বিরোধীদের হট্টগোলে দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায়। রবিবার রাতে রাজ্য সরকার বিষমদে মৃত্যুর তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, সিট নয়। সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। সিএলপি নেতা অজয়কুমার বলেছেন, সিবিআই ছাড়া এত বড় ঘটনার তদন্ত সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও এত মানুষের মৃত্যুর নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এবং খুশিনগরের পাশাপাশি বিষমদের বিষ উত্তরাখণ্ডেও ছড়িয়েছে। দুই রাজ্য মিলিয়ে মৃত্যু ১৩০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও অনেকে হাসপাতালে আশঙ্কাজনকভাবে ভর্তি। ফলে মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। উত্তরাখণ্ডেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী দল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের সরকারকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস প্রধান প্রীতম সিং বলেন, দুই রাজ্যে অসংখ্য মৃত্যুর পর একজন মন্ত্রীও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। রাজ্যের নাগরিকদের প্রতি সরকারের মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। সরকারের এখনও ঘুম ভাঙেনি। সপ্তাহ ঘুরতে চলল, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।