বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
মুম্বই মেট্রোপলিটান এলাকায় এই প্রথম কোনও সংশোধনাগারে নিজস্ব রেডিও স্টেশন চালু হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে বন্দিদের পরিচালিত। এই বন্দিদশা আদতে জীবনের একটি খারাপ অধ্যায় মাত্র। অন্য সব কিছুর মতো এটিও কেটে যাবে। গানের মধ্যে বন্দিদের এই আশার বার্তাই শোনান রেডিও জকি সাদিক। সংশোধনাগারের তরফে বেশ কিছুদিন আগেই নিজস্ব এফএম স্টেশন চালু করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রযুক্তি। এক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকা নেয় নভি মুম্বইয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারাই রেডিও স্টেশন করার উপযোগী ল্যাপটপ, মিক্সার এবং একটি মাইক্রোফোন সরবরাহ করে। একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারকে এনে বন্দিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করে সংস্থাটি। মাত্র দু’সপ্তাহের প্রশিক্ষণেই তিনজন বন্দি পুরো ব্যাপারটি আয়ত্ত করে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন ওই সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার।
আপাতত প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত একঘণ্টার শো সম্প্রচারিত হয় এই রেডিও স্টেশনে। দায়িত্বে রয়েছে একজন রেডিও জকি, একজন স্ক্রিপ্টরাইটার এবং একজন সিস্টেম অপারেটর। তবে শো-তে যা খুশি তাই বলতে বা শোনাতে পারে না তারা। পুরো অনুষ্ঠানটির বক্তব্য আগে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হয়। সেখান থেকে অনুমতি মিললে তবে সেটি রেকর্ড করা হয় এবং পরদিন তা শোনা যায়। এই এফএম স্টেশনের সবথেকে বড় আকর্ষণ হল ‘অনুরোধের আসর’। নিজেদের পছন্দসই গান চালানোর অনুরোধ লিখে বন্দিরা একটি বাক্সে ফেলে। সপ্তাহে দু’দিন একঘণ্টার অনুষ্ঠানে শুধু সেই অনুরোধ মেনে গান চালানো হয়। কার অনুরোধে গানটি চালানো হল তারও উল্লেখ থাকে। দিনে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেন বন্দিরা। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে এমএফ স্টেশনটি চালাচ্ছে বন্দিরা। কখনও অনুষ্ঠানের বিষয় খুঁজে না পেলে বিখ্যাত অভিনেতা বা সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন পালন করে তারা। বন্দিদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সংশোধনাগারের আধিকারিকরা। অন্য সংশোধনাগারগুলিতেও এমন উদ্যোগ নেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরা।