বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
গত ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বাজেট নথিতে নতুন চাকরি সংক্রান্ত মোদি সরকারের দাবি বিশ্লেষণ করে এবিষয়ে এই নয়া তথ্য সামনে আসছে। নথির বিশ্লেষণ থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৭৯টি নতুন চাকরি হয়েছে। ২০১৯ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তা আরও বেড়ে ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৪৪টি হতে পারে।
ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের অভিযোগে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা বানিয়ে চলেছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি অপ্রকাশিত সরকারি রিপোর্টের দাবি অনুযায়ী, বেকারত্বের হার বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক হয়েছে। ওই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এই ইস্যুতে মোদি সরকারের উপর বিরোধীদের আক্রমণ আরও বেড়েছে। যদিও সরকারের তরফে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারই মধ্যে নতুন চাকরি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া দাবি সামনে চলে এল।
গত বৃহস্পতিবার সংসদে বক্তব্য রাখার সময় বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন মোদির দাবি ছিল, পরিবহণ, হোটেল ও পরিকাঠামো সহ সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে গোটা দেশে কয়েক কোটি নতুন চাকরি হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ড, ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস), আয়কর ফাইলিং সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য পেশ করেন। আর বাজেট সংক্রান্ত নথিতে মোদি সরকারের দাবি, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সব মিলিয়ে ৩ লক্ষ ৭৯ হাজারের বেশি নতুন চাকরি হচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছে রেল, পুলিসবাহিনী এবং প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ কর দপ্তরগুলিতে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কীভাবে নতুন চাকরি হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের পৃথক ছবিও উঠে এসেছে বাজেটের নথিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি চাকরি হবে রেলে। সেখানে নতুন নিয়োগের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৮ হাজার ৯৯৯টি। এই সময়কালের মধ্যে পুলিসের দপ্তরগুলিতে ৭৯ হাজার ৩৫৩টি নতুন চাকরি হচ্ছে। প্রত্যক্ষ কর দপ্তরগুলিতে নতুন চাকরি হবে ২৯ হাজার ৯৩৫টি। অপ্রত্যক্ষ কর দপ্তরগুলিতে হবে ৩৯ হাজারের কাছাকাছি নতুন চাকরি।