বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সমাজের আর পাঁচজন কী বলবে, শুধুমাত্র এই আশঙ্কায় বিয়েতে কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা খরচের এই রীতিই মানতে পারেননি অন্ধ্রপ্রদেশের এক আইএএস আধিকারিক। বাস্তবের কঠিন মাটিতে দাঁড়িয়ে এই বিলাসিতার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি তিনি। আর তাই সামর্থ থাকলেও নামমাত্র খরচে ছেলের বিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ওই আমলা। তিনি পাটনালা বসন্ত কুমার। বিশাখাপত্তনম মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (ভিএমআরডিএ) কমিশনার বসন্ত ছেলের বিয়ে দিয়েছেন মাত্র ৩৬ হাজার টাকা খরচ করে। ছেলে এবং পুত্রবধূর সম্মতি নিয়েই হয়েছে সবটা। নবদম্পতির বক্তব্য, বিয়ের সময় বিপুল অর্থ খরচ করার পরিবর্তে বিবাহ পরবর্তী সময়ে আমরা যাতে স্বচ্ছল জীবনযাপন করতে পারি, সেটাই নিশ্চিত করেছি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বসেছিল বিয়ের আসর। একেবারে সাদামাটা সেই অনুষ্ঠানে জৌলুসের ছিঁটেফোঁটাও ছিল না। দুই পরিবারই বিয়ের খরচ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো পাত্রপক্ষকে দিতে হয়েছে মাত্র ১৮ হাজার। বাকি ১৮ হাজার দিয়েছে পাত্রীপক্ষ। এই টাকার মধ্যে অতিথিদের মধ্যহ্নভোজের খরচ সহ বিয়ের আনুষঙ্গিক সমস্ত খরচ রয়েছে। অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল ইএসএল নরসিমহাম বিয়েতে উপস্থিত হয়ে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন।
তবে, এটাই প্রথম নয়। এইভাবেই ২০১৭ সালে নামমাত্র টাকায় নিজের মেয়েরও বিয়ে দিয়েছিলেন এই আইএএস। সেবার খরচ হয়েছিল মাত্র ১৬ হাজার টাকা।