বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
দু’দিনের উত্তরপূর্ব সফরে শুক্রবার অরুণাচলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ইটানগরের আইজি পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়ে তিনি জানান, অরুণাচল প্রদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে বিদ্যুত পরিষেবার উন্নতিতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। অরুণাচলকে দেশের ‘গর্ব’ হিসেবে অবিহিত করে মোদি বলেন, দেশের প্রবেশপথ হিসেবে অরুণাচল সীমান্তের প্রহরী। তাই যেকোনও মূল্যে এই রাজ্যের উন্নতিসাধন সরকারের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘অরুণাচল গোটা দেশের বিশ্বাসের প্রতীক। এখানে মানুষ একে অপরকে জয় হিন্দ বলে অভিবাদন জানান। আমি এখানকার মানুষের দেশাত্মবোধকে সেলাম জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫৫ মাসে আমি বহুবার অরুণাচল প্রদেশে এসেছি। এবার আমি ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম।’
এরপরই সরাসরি পূর্বতন সরকারকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, আগের সরকার অরুণাচলকে উপেক্ষিত করে রেখেছিল। কিন্তু, তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে রাজ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। বলেন, ‘আগের সরকারের সঙ্গে এখনকার সরকারের তুলনা করে দেখুন, পার্থক্য বুঝতে পারবেন।’ আগের ইউপিএ সরকার যেখানে অরুণাচলের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল, সেখানে তাঁর সরকার একেবারে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলেও জানান মোদি। তাঁর দাবি, সীমান্ত সুরক্ষা এবং এই রাজ্যের যুবসমাজের কথা কখনওই ভাবেনি আগের সরকার।
এদিন আইজি পার্কের মঞ্চ থেকে রিমোট কন্ট্রোলে হলঙ্গির প্রস্তাবিত গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং লোহিত জেলায় অবস্থিত নবরূপে নির্মিত তেজু বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তেজু বিমানবন্দরের মাধ্যমে গুয়াহাটি, হলঙ্গি এবং জোরহাটের মধ্যে যোগাযোগ আরও মসৃণ হবে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত ফল ও ফুল মাত্র কয়েক ঘণ্টায় দেশের যেকোনও প্রান্তের বাজারে পৌঁছে যেতে পারবে। পর্যটনকে এই রাজ্যের আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রস্তাবিত গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর এবং উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যে শিল্পের জোয়ার আসবে। বেকার যুব সমাজের জন্য প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে। এর পাশাপাশি এদিন অরুণাচলের সেলা টানেলের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তিনি। সারাবছরই এই টানেলের মাধ্যমে তাওয়াং উপত্যাকার মানুষ এবং সেনাবাহিনী যাতায়াত করতে পারবে। এই টানেল তাওয়াংয়ের দূরত্ব একঘণ্টা কমিয়ে দেবে। যার ফলে তাওয়াংয়ের পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, শুধু অরুণাচলকে কেন্দ্র করে দূরদর্শনের নতুন চ্যানেল ডিডি অরুণ প্রভা, ১১০ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, এফটিআইআই-এর স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৫০টি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারেরও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী ডিকরংয়ের শক্তিকে ব্যবহার করে নিপকো (এনইইপিসিও) জলবিদ্যুৎ তৈরি করবে। এর ফলে অরুণাচল গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্যুতের সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্যে সৌভাগ্য প্রকল্পের অধীনে গৃহস্থ বাড়িতে বিদ্যুদয়নের কাজ ১০০ শতাংশে নিয়ে যেতে চাইছে সরকার।