হরিদ্বার ও সাহারানপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিষমদের জেরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত বিষমদ কাণ্ডে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বালুপুর এবং তার সংলগ্ন আর একটি জেলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় বিষমদ পান করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬। বৃহস্পতিবার রাতে নিকটবর্তী বালুপুর থেকে বিষমদ পান করে সাহারানপুরের বাড়িতে ফেরার পরই তাঁরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর মারা যান।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরেও বিষমদের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হয়েছে। তার মধ্যে শনিবার চিকিৎসা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া শুক্রবার রাতে মিশরৌলি গ্রামের এক বাসিন্দা এবং বেদুপুর গ্রামের পাঁচ বাসিন্দাও চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবার প্রতি ২ লক্ষ টাকা এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করেছেন। এমনকী কুশিনগর এবং সাহারানপুরের ঘটনায় জেলা আবগারি বিভাগের অফিসারদের বিরুদ্ধেও তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। খবর মিলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো আবগারি ইন্সপেক্টর, দুই হেড কনস্টেবল এবং আরও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও সেভরাহি থানার এসএইচও তারিয়া সুজানকে পুলিস লাইনে বদলি করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে খবর, শুধুমাত্র সাহারানপুর জেলায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১১ জনকে চিকিৎসার জন্য সাহারানপুর থেকে মিরাটে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার তাঁরা হাসপাতালে মারা যান। এছাড়াও শুক্রবার হাসপাতালে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মৃত্যুও বিষমদের জেরেই হয়েছে কি না, তা জানতে মৃতদেহগুলির ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিষমদে রাশ টানতে প্রশাসনিক তরফেও জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় আবগারি বিভাগ ও পুলিসের তরফে তল্লাশি চালানো হয়। কুশিনগরের পুলিস সুপার আর এন মিশ্রা বলেন, এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।